/anm-bengali/media/media_files/2025/08/24/whatsapp-image-2025-08-24-at-2025-08-24-20-37-58.jpeg)
SS
নিজস্ব সংবাদদাতা - ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার নিউ ফরাক্কা ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। আক্রান্ত পুলিশের এএসআই-এর নাম তাপস ঘোষ। তিনি ফরাক্কা ট্রাফিকে কর্তব্যরত। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে ফরাক্কা বেওয়া-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তারিকুল শেখকে।
সূত্রের খবর, একটি ইঞ্জিন চলিত ভ্যানে পাট বোঝাই করে নিউ ফরাক্কা ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে মালদার দিকে যাচ্ছিলেন এক চালক। সেই সময় কর্তব্যরত পুলিশের এএসআই ওই ইঞ্জিন চলিত ভ্যান আটকায়। তারপর চালককে বলেন এই ভ্যান ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। আর নিয়ে যেতে গেলে মুছলেখা দিতে হবে যে জাতীয় সড়কে এই ভ্যানে মাল নিয়ে আর যাবো না। এই ঘটনার পর চালক বিষয়টি পাট মালিককে বলে। কিছুক্ষনের মধ্যেই পাট মালিক নিউ ফরাক্কা ট্রাফিক মোড়ে এসে কর্তব্যরত পুলিশের এএসআই-এর সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে বলে জানা যায়। তাতে জখম হন সাব-ইন্সপেক্টর । পাট মালিক নিজেকে বেওয়া-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান বলে পরিচয় দেয়। আর বলতে থাকেন চাকরি করার ইচ্ছে আছে তো ? এছাড়া বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন তিনি।
ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে ফরাক্কা থানার পুলিশ। ঘটনা স্থলে থেকে আটক করা হয় পাট মালিককে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/24/whatsapp-image-2025-08-24-at-2025-08-24-18-42-28.jpeg)
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গতকাল বেওয়া-১ এর উপ-প্রাধান তারিকুল শেখ তার পাট একটি ইঞ্জিন চলিত ভ্যান করে মালদা পাঠিয়ে ছিলেন। নিউ ফরাক্কা ট্রাফিক মোড়ে সেই ভ্যান আটক করে পুলিশের কর্তব্যরত এএসআই তাপস ঘোষ। চালককে একটি মুছলেখা দিতে বলে এই ভ্যান আর কোন দিন জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে মাল নিয়ে যাতায়াত করবে না। আর এই নিয়ে ভ্যানের চালক বিষয়টি পাট মালিককে জানায় বলে জানা যায়। বেশ কিছুক্ষন পর পাটের মালিক এসে কর্তব্যরত পুলিশের এএসআই তাপস ঘোষকে হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। পাট মালিক নিজেকে বেওয়া-১ এর উপ-প্রধানের পরিচয় দেয়। গতকাল রাতে এই বিষয়ে সাব-ইন্সপেক্টর তাপস ঘোষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। আজ বেওয়া-১ এর উপ-প্রধান তারিকুল শেখকে আদালতে পাঠায় ফরাক্কা থানার পুলিশ।
তারিকুল শেখ জানান, ''আমি বেওয়া-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত উপ-প্রধান। আমার নিজস্ব পাট একটি ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে করে মালদার দিকে পাঠিয়ে ছিলাম। সেই ইঞ্জিন চালিত গাড়িটি ট্রাফিক মোড়ে আটকায় পুলিশ। চাবি নিয়ে নেয় সেই পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে কথা কটাকাটি হয়। এছাড়া আর কিছু হয়নি।''
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us