/anm-bengali/media/media_files/2025/12/08/whatsapp-image-2025-12-08-2025-12-08-13-11-23.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের কলাবনী ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বহুদিনের দাবি—কুয়াড়িখালের ওপর একটি নতুন সেতু নির্মাণ। বছর কেটে গেলেও সেই দাবি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। বর্ষা নামলেই কুয়াড়িখালের ওপর থাকা কজওয়ে নদীর জলস্রোতে তলিয়ে যায়, দুই দিকের মাটিও ধসে পড়ে। ফলে সাঁকরাইল ও গোপীবল্লভপুর ২-এর হাজারো মানুষের নিত্যযাতায়াতে তৈরি হয় চরম সংকট। স্থানীয়দের বক্তব্য, এই কজওয়েটি দুই ব্লকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পথ। প্রতিদিন কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ী, নিত্যযাত্রী থেকে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এই পথেই চলাচল করেন। কিন্তু বছরের পর বছর কজওয়ের বেহাল অবস্থায় থাকায় এলাকাবাসী আতঙ্কে থাকেন—যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। প্রতিবার বর্ষাকালে নদীর জল বাড়লে কজওয়ে পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। জল নেমে গেলে গ্রামবাসীরাই মাটি ফেলে বা বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো বানিয়ে কোনওভাবে যোগাযোগ সচল রাখেন। বহুবার প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হলেও এখনও কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “বছরের পর বছর ধরে কুয়াড়িখালের উপর নতুন ব্রিজের দাবি জানাচ্ছি। কর্মকর্তারা এসেছেন, দেখেছেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—কিন্তু কাজ আজও শুরু হয়নি। বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া থেকে শুরু করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া—সবই এখন ভাগ্যের উপর নির্ভর করছে। বিজেপি নেতা অঞ্জন জানা অভিযোগ তোলেন, “তৃণমূল সরকার মানুষের সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ। শুধু প্রতিশ্রুতির রাজনীতি করে যাচ্ছে। তারা কোনওদিন এই ব্রিজ করবে না। বিজেপি সরকার এলেই প্রকৃত উন্নয়ন হবে"। অন্যদিকে খাড়বান্ধী অঞ্চল cতৃণমূল সভাপতি বৈকুণ্ঠ শীট বলেন, "আমরা বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। আমাদের দেখানো আশা আজও বাস্তব হয়নি। বর্ষাকালে সাঁকরাইল ও গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। খাড়বান্ধী উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে আসতে সাঁকরাইল ব্লকের কুঙরদা গ্রাম সহ বহু গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়"।
ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডী জানান, “বিষয়টি খুব বেশি জানা নেই। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি মানুষ সমস্যায় পড়ে থাকে, জেলা প্রশাসন অবশ্যই বিষয়টি দেখবে"। বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকা নতুন সেতুর দাবির কবে হবে স্থায়ী সমাধান—সেই আশায় পথ চেয়ে রয়েছেন কলাবনী ও আশপাশের গ্রামের মানুষ।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/12/08/whatsapp-image-2025-12-08-2025-12-08-13-13-24.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us