নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: কম খরচে দ্বিগুণ ফলন ও লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এবার অন্যান্য চাষ ছেড়ে এই চাষেই ঝুঁকছেন জঙ্গলমহলের কৃষকরা। সুবর্ণারেখা নদী তীরবর্তী এলাকার পলিমাটিতে সেভাবে চাষবাস হত না। এবার লক্ষী লাভ হচ্ছে কৃষকদের। কি সেই চাষ?
সরকারিভাবে উন্নত প্রজাতির বাদাম বীজ চাষ করে মোটা টাকা আয় করছেন গোপীবল্লভপুরের কৃষকরা। সুবর্ণারেখার পাড়ে ভালো উৎপাদন হওয়াতে, এই চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। কখনও বৃষ্টি, আবার কখনও প্রচণ্ড রোদ। এই আবহাওয়ায় গোপীবল্লভপুরের বাদাম চাষিদের মুখে হাসি ফুটল। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ব্লকের নদী তীরবর্তী এলাকার একাধিক গ্রামে বাদাম চাষ বেড়েছে। চাষিরা উৎপাদিত বাদাম ভিনরাজ্যে পাঠাচ্ছেন। ভালো দাম পাচ্ছেন। তবে শুধু গোপীবল্লভপুর ব্লক নয়, জেলা জুড়েই বাদাম চাষ নতুন দিশা দেখাচ্ছে। স্থানীয় কৃষক সত্যব্রত গিরি জানান যে অন্যান্য বীজের তুলনায় কাদরী লেপাক্সি বাদামের বীজে ফলন বেশি। এটি চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছেন। বালি মাটিতে অন্য কোনো ফসল হয় না। তবে বাদাম চাষ ভালো হয়। আগের চেয়ে বর্তমানে বাজারে বাদামের চাহিদা বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছেন গোপীবল্লভপুরের কৃষকরা।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কৃষিতে স্বনির্ভর হওয়ার কথা বলেছেন। সেই লক্ষ্যেই জেলায় চিনাবাদামের চাষ বেড়েছে। নতুন ধরনের চাষের মাধ্যমে আয় বাড়ছে চাষিদের। অন্যান্য চাষের তুলনায় বাদাম চাষ বেশ লাভজনক। ১ হেক্টর জমিতে ২২ কুইন্টাল পর্যন্ত বাদাম পাওয়া যায়। রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়।