আতঙ্কের মাঝে উৎসব! প্রশ্নের মুখে বনদফতরের ভূমিকা

একদিকে হাতিরা জঙ্গল ছেড়ে প্রবেশ করছে লোকালয়ে। জঙ্গলমহলে হাতির হানায় সর্বহারা মানুষ। এরই মাঝে উৎসবে মাতোয়াড়া বনদফতর! এ কেমন ভূমিকা? উঠছে প্রশ্ন। একদিকে আতঙ্ক, অন্যদিকে সেলিব্রেশন!

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
১১১১১

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম :  লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে যখন উৎসব পালন করছে বনদফতর, অন্যদিকে তখন হাতির হামলায় মাথার ছাদ খুইয়ে প্রায় খোলা আকাশের নিচে  বসবাস করছে ১০ টি পরিবার। ঘরে সমান্য খাবারও নেই। অথচ অভিযোগ, এতবড় ঘটনার পরও বনদফতর নির্বিকার।

১১১১১১



হাতির হামলা অব্যাহত ঝাড়গ্রামে।গতকাল রাতে হাতির হামলায় শিমূলডাঙা এলাকায় প্রায় ১০ টি বাড়ি ভাঙচুর করে হাতির দল। 

১১১১১১১



বর্ষার সময় ঘড় ভাঙা অবস্থায় চরম বিপদের মুখে পরিবার গুলো। কারণ রাতে ফের হাতি যে হামলা চলাবে না তার নিশ্চয়তা নেই।হুলাপর্টিও কর্মবিরতি পালন করায় হাতি তাড়ানোও যাচ্ছে না। ফলে চরম সমস্যায় এলাকার মানুষজন। 

১১১১১১



ভরা বর্ষায় জঙ্গলে খাবারের আকাল। মাঠেও সে রকম কিছু নেই। ধান রোঁয়া চলছে। বুধবার খাবারের সন্ধানে সাত সকালেই লোকালয়ে ঢুকে পড়লো দলমার দাঁতালের দল।একটা-দুটো নয়, ঘুম থেকে উঠে এতগুলো হাতিকে ঘরের দোরগড়ায়  দেখে আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। ঝাড়গ্ৰাম ব্লকের বালিভাষা , মানিকপাড়া, সহ একাধিক এলাকায় তান্ডব চালায় দাঁতাল হাতির দলটি। ছোট বড় মিলিয়ে কমপক্ষে ৩০-৪০ টি হাতি রয়েছে ওই দলে। । স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে ঘড় ভেঙে ভোরবেলা দাঁতালের দল খাবারের খোঁজে ঝাড়গ্রাম ব্লকের বেশ কিছু গ্ৰাম সন্নিহিত চাষের জমিতে তাণ্ডব চালায়। হাতির তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। দাঁতালের দলটিকে  গ্রামবাসীরা জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করেন। বেশ কিছুক্ষণ গ্রামের রাস্তায় রুটমার্চ করার পর অবশেষে দাঁতালের দল জঙ্গলে প্রবেশ করে। প্রায় ২০ বিঘা চাষের জমিতে তছনছ করে দলটি। বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে গ্রামবাসীদের।