পাওনাদারদের চাপে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নদিয়ার দম্পতির

পাওনাদারদের চাপে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নদিয়ার এক দম্পতির।

author-image
Aniket
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Screenshot 2025-08-23 3.26.58 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি: নদিয়ার ধানতলা থানার হালালপুর গ্রামের এক রুপোর গহনার কারিগর খোকন সন্ন্যাসী ও তাঁর স্ত্রী অলকা সন্ন্যাসী চরম আর্থিক সংকটে পড়ে জীবনের মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাজারে নিজ হাতে তৈরি রুপোর গহনা বিক্রি করে সংসার চালালেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যবসায় ভাটার টানে ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়।দেনাদারের চাপ এতটাই অসহনীয় হয়ে ওঠে যে, এক সময় আত্মহত্যার কথাও ভাবতে শুরু করেন এই দম্পতি। কিন্তু তাঁদের একমাত্র নয় বছরের কন্যার মুখ চেয়ে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তাঁরা। শেষমেশ উপায়ন্তর না দেখে নিজেদের একটি করে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন বাঁচার আশায়।

এই মর্মে তাঁরা রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানার কাছে মৌখিক আবেদন জানান সরকারি সহায়তার জন্য। বিডিও জানান, কিডনি বিক্রি আইনত অপরাধ এবং অমানবিক। সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্যের দরজা খোলা রয়েছে। প্রয়োজনে স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া যেতে পারে। খোকনবাবুর কথায়, “আমরা আর পারছি না। আত্মসম্মান তো দূরের কথা, এখন দু’মুঠো ভাত জোটানোও কঠিন।” বর্তমানে তাঁর পরিবারে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা এবং ছোট মেয়ে। পাওনাদারদের চাপে বাড়ির মধ্যেও নিরাপদে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এখন প্রশ্ন , কত দ্রুত তাদের সমস্যা সমাধান হয়!