হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে মুখে হাসি ফুটলো মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দাদের

স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কংক্রিটের নদী বাঁধ।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2025-06-14 at 18.29.21

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় তছনছ করে দিয়েছে সুন্দরবনের একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকার মাটির নদী বাঁধগুলি। একের পর এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে সুন্দরবনে। ২০২১ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তছনছ করে দিয়েছে সুন্দরবনের একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলি। সেই সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ মৌসুনি। কলকাতার কাছে পর্যটকদের ভ্রমণের অন্যতম ডেস্টিনেশন মৌসুনি দ্বীপ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তছনছ করে দিয়েছে মৌসুনি দ্বীপের মাটির নদী বাঁধগুলি। মাটির নদী বাঁধ ভেঙে গিয়ে প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল এলাকাবাসীরা। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কংক্রিটের নদী বাঁধ।

কংক্রিটের নদী বাঁধের দাবিতে বারবার আন্দোলনেও সামিল হয়েছিল মৌসুনি দ্বীপের মানুষজনেরা। মৌসুনি দ্বীপের স্থানীয়দের নদী বাঁধের দাবি নিয়ে আইনজীবী রাজেশ ক্ষেত্রী ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ চার বছর ওই মামলা চলার পর অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দে দাসের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। 

শুধু কংক্রিটের নদী বাঁধ নয়, মৌসুনি দ্বীপের এলাকাবাসীদের জন্য স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে একাধিক দায়ভার নিতে হবে রাজ্য সরকারকে এমনই নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত বিষয়গুলির গুরুত্বর সঙ্গে বিবেচনা করার নির্দেশ দেন তিনি।

কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর খুশি সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকার মানুষেরা। দীর্ঘ চার বছরের সংগ্রাম লড়াইয়ের পর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙনের হাত থেকে এলাকাবাসীদের রক্ষা করার জন্য যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে সেই নির্দেশে খুশি এলাকার মানুষজনেরা।