/anm-bengali/media/media_files/2025/09/09/whatsapp-image-2025-09-09-2025-09-09-19-53-31.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, শালবনী: এক বাঁদরেই ঘুম উড়েছিল শালবনীবাসীর। সে সরতেই হাজির আরও এক বাঁদর। অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলিতে খাঁচা বন্দি হল বাঁদরটি। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী এলাকার।
জানা গিয়েছে, গত ১ মাস ধরে ওই বাঁদরের আক্রমণে জখম হয়েছে ৩০ জন। বাঁদরটিকে খাঁচাবন্দি করতে সবরকম চেষ্টা চালিয়েও সফল হয়নি বনদফতর। জনমানসে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল বনদফতরের বিরুদ্ধে। এর আগে আরও এক বাঁদরের আক্রমণে ২ মাসে ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছিল। তাকে কোনোভাবে জালের ফাঁদ পেতে ধরা গিয়েছিল। পরে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে এলে লালগড়ে গিয়ে ১০ জনকে আহত করে। তবে ওই বাঁদর চলে যাওয়ার পরেই হাজির হয় আরেকটি বাঁদর যে নতুন করে উৎপাত শুরু করে এলাকায়। শালবনী এবং পার্শ্ববর্তী চকতারিণী, তিলাখুলা গ্রামে বাড়ির ছাদে, গাছের ডালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পথচলতি এমনকি বাড়ির ছাদে মানুষজনকে দেখতে পেলেই আক্রমণ করছে। মহিলা শিশুসহ প্রায় ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে। জাল বিছিয়ে ফাঁদ পাতলেও সেই জালে ধরা দেয়নি। বনদফতর থেকে জানা গিয়েছে, বাঁদরটিকে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে গেলেই বাঁদরটি লুকিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছে, বাড়িতে, রান্নাঘরে বা যে কোনও জায়গায় অতর্কিতে ঢুকে আক্রমণ করছে বাঁদরটি। এমনকি রাস্তায় পথচারীদের ওপরেও আক্রমণ করে আহত করেছে সে বেশ কয়েকজনকে। বিভিন্ন জায়গায় ফলের টোপ দিয়ে, জাল ফেলে কোনওমতেই কাবু করা যাচ্ছে না তাকে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। গত জুন মাসে এমনই আরও এক বাঁদরের আবির্ভাব হয়েছিল শালবনী এলাকায়। সেই সময় ২০ জনের বেশি আহত হয়েছিল। পরে বনদফতর খাঁচায় বন্দি করেছিল বাঁদরটিকে। মোট ৩ টি বাঁদর তাণ্ডব চালিয়েছে শালবনীতে। অবশেষে সোমবার রাতে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে বাঁদরটিকে খাঁচাবন্দি করে বনদফতর। আড়াবাড়ি রেঞ্জের আধিকারিক বাবলু মান্ডি বলেন, "জাল বিছিয়ে, খাবারের টোপ দিয়েও বাঁদরটিকে কোনওভাবেই ধরা যায়নি। ঘুমপাড়ানি গুলি করে ধরা হয়েছে। তার শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে"।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/04/monkey-2025-07-04-14-16-37.jpg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us