কেজি প্রতি প্রায় ৩ লক্ষ টাকা! পাহাড়েও জনপ্রিয় 'মিয়াজাকি'

জাপানি আমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। উত্তরবঙ্গের আম উৎসবে সাড়া ফেলে দিয়েছে বহমূল্যের মিয়াজাকি আম। বহুগুণ সম্পন্ন এই আম বীরভূমের মাটিতেও ফলেছে এর আগে।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
12

নিজস্ব সংবাদাতা : বৈশাখ মাস থেকেই আম প্রেমীদের আমের অপেক্ষা শুরু হয়ে যায়। এরপর জ্যৈষ্ঠে জামাই ষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাতে পরে ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর, চৌসা সহ নানান প্রজাতির আম। তবে বাঙালিদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় ল্যাংড়া ও হিমসাগর আম। এছাড়াও বেশ কিছু বিদেশি প্রজাতির আমও ফলছে বাংলার মাটিতে। সম্প্রতি বীরভূমে হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল মিয়াজাকি আম নিয়ে। যার মূল্য কেজি প্রতি কয়েক লক্ষ টাকা। এটি জাপানি প্রজাতির আম। তবে, শুধু দক্ষিণবঙ্গে নয় উত্তরবঙ্গেও সাড়া ফেলে দিয়েছে মিয়াজাকি। শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সপ্তম বর্ষের আম উৎসব। শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে তিন ধরে চলবে আমের প্রদর্শন। আর সেই প্রদর্শনীতেই তাক লাগিয়ে দিল মিয়াজাকি। আন্তর্জাতিক বাজারে আমটির দর কেজি প্রতি প্রায় ২.৭৫ লক্ষ টাকা। এটিই বিশ্বের সর্বোচ্চ মূল্যের আম। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম (এসিটি) সহ মডেল কেয়ারটেকার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল (এমসিসিএস) দ্বারা আয়োজিত শিলিগুড়ির একটি মলে ৯ জুন ম্যাঙ্গো ফেস্টিভ্যালের সূচনা ঘটে। তিন দিনের উৎসবে ২৬২টিরও বেশি জাতের আম প্রদর্শিত হবে। জানেন কি, মিয়াজাকির বহু গুণ রয়েছে? মিয়াজাকিতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন এবং ফলিক অ্যাসিড। এই আমের আরেকটি ভালো বিষয় হল এটি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও পরিচিত। জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ই, এ এবং কে ছাড়াও এতে কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য অপরিহার্য। মিয়াজাকি ছাড়াও এই আম পরিচিত, '‌সূর্যের ডিম'‌ (‌জাপানিজ নাম তাইয়ো-নো-তামাগো)‌ নামে। রং বেগুনী।

12

প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির আগে বীরভূমের লাভপুর ব্লকের চৌহাট্টা মহোদোরী-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নবগ্রামে রাজ্য সরকারের মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে ফলেছে দুর্মূল্য মিয়াজাকি প্রজাতির আম। এই দামি আমের ফলন নিয়ে জেলা জুড়ে  উন্মাদনার শেষ নেই। সরকারি প্রকল্পের জায়গায় এই দামি আমের ফলনের খবর মিলতেই লাভপুরের বিডিও সহ পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের আধিকারিকরা গাছটি দেখতে যান। সেখানে গাছটির নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে যে  পরীক্ষামূলক ভাবে বাংলাদেশ থেকে একটি মিয়াজাকি আম গাছের চারা নিয়ে এসে রোপন করা হয় লাভপুরে। মিয়াজাকি প্রজাতির আমের জন্মস্থান জাপান হলেও বাংলাদেশেও বর্তমানে এই আমের দেখা মিলছে। বাংলাদেশ থেকেই চারা এনে রোপণ করা হয় পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে। আর তাতে সাফল্যও মিলেছে। আমের মরশুমে ১৫টি গাছে আম এলেও ঝড় বৃষ্টিতে হয়েছে ক্ষতি। বেশ কিছু গাছ নষ্ট হয়ে যায়। তবে, যাই হোক না কেন, বিদেশী প্রজাতির আম নিয়ে এখন হৈ চৈ সমতল থেকে পাহাড়ে।