কানের লতি ও হাতের কনুই দেখেই গেল চেনা, ৩০ বছর পর বাড়ি ফিরলো ছেলে!

জামনগরের কারখানায় এতদিন কাজ করছিলেন মনোরঞ্জনবাবু।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2025-05-16 at 12.07.54 (1)

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: কানের লতি কাটা, হাতের কনুই বাঁকা। এই সূত্র ধরে প্রায় ৩০ বছর পর পৈতৃক বাড়িতে ফিরলেন বাড়ির বড় ছেলে। দাসপুর থানার অন্তর্গত বেনাই গ্রামের কোলে পরিবারে এখন খুশির মহল। 

প্রায় ত্রিশ বছর আগে ১৬ বছর বয়েসে সোনার কাজে গিয়ে মুম্বই শহর থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন বেনাই গ্রামে দুলাল কোলে ও অনিমা কোলের বড় ছেলে মনোরঞ্জন। তখন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে আশা ছাড়েননি পরিবারের সদস্যরা। শেষে ৩০ বছর পর ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের শেষের দিকে মাসির ছেলের সহায়তায় বড় দাদাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনলেন ছোট ভাই বরুণ।

WhatsApp Image 2025-05-16 at 12.07.55

বরুণবাবু বলেন “আমাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় মনোজদা, হারিয়ে যাওয়ার পর তাঁর অনেক সন্ধান করা হয়েছিল। তখন আমরা ছোট ছিলাম। মুম্বই শহর থেকে দাদা হারিয়ে ছিল জানতাম, তবে আমার মনে আশা ছিল দাদাকে একদিন না একদিন বাড়িতে ফিরিয়ে আনবোই। সেই জন্যই পরিচিত সমস্ত আত্মীয়দের বলে রেখেছিলাম দাদার কোনরূপ সন্ধন পেলেই যেন সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানায়। এপ্রিল মাসের শেষদিকে গুজরাটের জামনগরে একটি ওভার ব্রিজের নিচে আমার বড়দার মতো একজনকে দেখে আমার এক মাসির ছেলে আমায় খবর দেয়। মাসির ছেলে ওই শহরেই কাজের সূত্রে থাকে। খবর পেয়ে আমি ফোনে দাদার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি সে প্রকৃতপক্ষেই আমার দাদা। ছোটবেলা থেকেই আমার বড়দার ডান কানের লতি কাটা, এছাড়াও বাম হাতের কনুইটি বাঁকা। সেই সূত্র ধরেই দাদার সঙ্গে ভালো করে কথা বলে পুরো বিষয় জানতে পারি। তারপর হায়দরাবাদ থেকে প্লেনে সেখানে পৌঁছে দাদাকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছি। এতে যতটা খুশি হয়েছেন আমার মা, ততটাই খুশি আমরা”। 

WhatsApp Image 2025-05-16 at 12.07.54

প্রসঙ্গত জামনগরে একটি পিতলের কারখানায় এতদিন কাজ করছিলেন মনোরঞ্জনবাবু।