"দেবী রূপে পূজা করবে বাংলার মানুষ"! দেবীর সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা করলেন মন্ত্রী

পাট্টা বিলির সাথেই পুজোর আগে ঋণ প্রদান মেদিনীপুরে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-08-27 at 2.55.37 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: সারা রাজ্যের সাথে সাথেই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রান্তিক মানুষের হাতেও জমির পাট্টা প্রদান করা হল। এদিন সবমিলিয়ে জেলার ৮৩১ জন মানুষকে পাট্টা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬২৭ জনকে কৃষি পাট্টা, ৭৪ জনকে বাস্তু পাট্টা এবং ১৩০ জনকে বন পাট্টা প্রদান করা হয়। মেদিনীপুরে জেলাশাসকের কার্যালয়ের ওল্ড কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, রাজ্যের মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া সহ জেলার সাংসদ ও বিধায়করা। বর্ধমান থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। মেদিনীপুর শহরের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর 'ভূয়সী' প্রশংসা করেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন ও সেচ দফতরের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। 

একসময় অবেগাপ্লুত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলার মহাপুরুষ বা যুগাবতারদের সাথেও তুলনা করে বসেন মানস। তিনি বলেন, "২০২১ সাল থেকে আমরা ৬৩৬১টি পাট্টা দিয়েছি। আজকে দিলাম ৮৩১টি। এখনও পর্যন্ত বাংলার ৪৬,৪৩৮ জন মানুষকে পাট্টা দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী"। এরপরই মানস বলেন, "আজকে যখন বনভূমির লোকেদের পাট্টা দেওয়া হচ্ছিল, আমার চুয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী শিরোমণির কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। মানুষই দেবতা গড়ে, মানুষই পূজা করে। একদিন আসবে, বাংলার ইতিহাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের কল্যাণে যে কাজ করে গেলেন, তাঁকেও দেবী রূপে পূজা করবে বাংলার মানুষ, ঘরে ঘরে। আজকের দিনে আমি ডাক্তার মানস ভূঁইয়া বলে গেলাম। ভবিষ্যতে প্রমাণ হবে, একথাই সত্য"।

অন্যদিকে, পুজোর প্রাক্কালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফের একবার রেকর্ড ঋণ প্রদান করা হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। মঙ্গলবার প্রায় ৩১০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি। এর ফলে উপকৃত হবেন প্রায় ৫০ হাজার মহিলা। এদিন জেলা পরিষদের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে অষ্টম মেগা ক্রেডিট ক্যাম্পে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি সহ অনেকেই। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি ও ঋণ দানের ক্ষেত্রে জেলায় প্রথম হয়েছে গড়বেতা -৩ ব্লক। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে কেশপুর ব্লক এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে খড়গপুর–১ ব্লক। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এদিন বলেন, "পুজোর আগে টাকা পেয়ে খুব উপকার হল"।

Manas