মিয়াজাকি, ব্ল্যাকস্টোন থেকে আম্রপালি, হিমসাগর! মেদিনীপুরে জমজমাট 'আম উৎসব'

কোন কোন প্রজাতির আম রয়েছে এই উৎসবে?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-06-18

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: ৩০ টাকা প্রতি কেজি থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ টাকা প্রতি কেজির আমের ঢল। মেদিনীপুর শহরে অনুষ্ঠিত আম উৎসবে রকমারি প্রজাতির আমের সম্ভার নিয়ে হাজির চাষিরা। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগে এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে শহরের শহীদ প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে উদ্বোধন করা হলো 'পশ্চিম মেদিনীপুর আম উৎসব'- এর। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুজয় হাজরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতিসহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। ২ দিন ব্যাপী এই আম উৎসব চলবে বুধবার (১৮ জুন) অবধি। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা ছাড়াও এই আম উৎসবে আমের পসরা নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, মালদা সহ বিভিন্ন জেলার আম চাষিরা।

এই 'আম উৎসব' আলো করে একদিকে যেমন হাজির হয়েছে জাপানি মিয়াজাকি, থাইল্যান্ডের ব্ল্যাকস্টোন, থাই ফোর কে, রেড আইভরি, গোল্ডেন কুইনের মতো বহুমূল্য নানা বিদেশি আম; ঠিক তেমনই আছে আম্রপালি, হিমসাগরের মতো চিরাচরিত আম। আছে বানানা ম্যাঙ্গো, কাটিমন, কিংস্টোন প্রাইডের মতো বিরল প্রজাতির আম। প্রথম দিন উদ্বোধনের পরই জমজমাট ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মেদিনীপুর শহরের শিক্ষক সৌম্যসুন্দর মহাপাত্র, শিক্ষিকা সোমা চট্টরাজ, সমাজসেবী গোপাল সাহা প্রমুখ সকলেই বলেন যে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির আম আছে। মিয়াজাকি, ব্ল্যাক স্টোন প্রভৃতি আমের দাম যেমন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে; ঠিক তেমনই নাগালের মধ্যেই আছে আম্রপালি, হিমসাগর সহ নানা আম। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থেকে আসা এক আম চাষি বলেন, "আমাদের বাগানে প্রায় ৪৪ রকমের আম ফলেছে। সবথেকে দামি আম মিয়াজাকি এবং ব্ল্যাকস্টোন। মিয়াজাকির প্রতি পিসের দাম ১০ হাজার টাকা এবং ব্ল্যাকস্টোনের প্রতি পিসের দাম ৫ হাজার টাকা। কেজি হিসেবে ধরলে ২-৩ লক্ষ পেরিয়ে যাবে। এছাড়াও, থাইল্যান্ড ফোর কে- এর এক পিস আমের ওজন ৪ কেজি"। জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক স্বপন শীট বলেন, "মেদিনীপুরে এবারই প্রথম আম উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ১২টি স্টল আছে। বেশিরভাগ চাষি পশ্চিম মেদিনীপুরের হলেও অন্যান্য জেলা থেকেও চাষিরা এসেছেন"। বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় জেলা প্রশাসন ও উদ্যান পালন দফতরের এই অভিনব উদ্যোগকে মেদিনীপুরবাসী হিসেবে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি"।

mango