পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য বড় উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ! জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হল ১৩টি ভ্রাম্যমান চিকিৎসা কেন্দ্র

কি উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ?

author-image
Debjit Biswas
New Update
mamata banerjee laugh

নিজস্ব সংবাদদাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে অত্যাধুনিক ১৩টি অ্যাম্বুল্যান্স বা মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট (ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র) তুলে দেওয়া হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) শালবনিতে বীরসা মুন্ডার ১৫১তম জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত 'জয় জোহার' মেলার প্রথম দিনই এই 'ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র'-এর উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ মানসরঞ্জন ভুঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী প্রমুখ। মূলত, জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসী অধ্যুষিত ও প্রান্তিক এলাকার বাসিন্দাদের দুয়ারে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই 'উপহার' বলে জানান রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, "রাজ্যের অন্যান্য জেলাও ৪-৫টি করে এই ধরনের অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্স বা 'মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট' পেয়েছে। তবে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকেই সর্বাধিক ১৩টি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র বা মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট উপহার দেওয়া হয়েছে।"

WhatsApp Image 2025-11-16 at 3.31.26 PM
AMBULANCE

জয় জোহার মেলার উদ্বোধনের দিনই এই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্রেরও উদ্বোধন হয় মন্ত্রীর হাত ধরে। খুশি জঙ্গলমহলবাসী। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, সপ্তাহের ছ'দিন (সোম থেকে শনি) জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাবে এই মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট বা ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র। আগামী সপ্তাহ থেকেই আদিবাসী ও প্রান্তিক এলাকাগুলিতে এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। CMOH এত জানান, "৩টি গাড়ি আগেই পৌঁছেছিল। দাঁতনে একটি, কেশিয়াড়িতে একটি এবং শালবনিতে একটি আছে। শনিবার সন্ধ্যায় বাকি ১০টিও পৌঁছে গেছে। গাড়িতেই পোর্টেবল এক্স-রে, ইসিজি, অটো এনালাইজার, সেল কাউন্টার, ইনকিউবেটর থাকবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন, ই-প্রেসক্রিপশন করা হবে। টেস্টের রিপোর্টও অনলাইনেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। গাড়িতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (মেডিক্যাল অফিসার), নার্স, এএনএম, আশাকর্মীরা ছাড়াও ল্যাব টেকনিশিয়ানরা থাকবেন।" এককথায় রোগী ভর্তি ছাড়া সমস্ত ধরনের চিকিৎসা পরিষেবাই মিলবে এই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে। এর ফলে জেলার প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া এলাকার বাসিন্দারা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।