শেষ বিদায়! প্যারা কমেন্ডার ঝন্টু আলি শেখের

তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা ও গার্ড অফ অনার জানানো হয়।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
g35ugjk

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: আর কখনও ফিরবেন না বলে ফিরলেন — সহকর্মীদের কাঁধে কফিনে বন্দি হয়ে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর তল্লাশি অভিযানে গিয়ে শহিদ হন ভারতীয় সেনার স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো ঝন্টু আলি শেখ। শেষবারের মতো নদিয়ার তেহট্টের গ্রামে পৌঁছল তাঁর নিথর দেহ, কান্নায় ভাসল গোটা এলাকা।

শুক্রবার রাতে ঝন্টু আলি শেখের মরদেহ প্রথমে পৌঁছয় কলকাতা বিমানবন্দরে, যেখানে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের তরফে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা ও গার্ড অফ অনার জানানো হয়। এরপর বারাকপুর সেনা ছাউনিতে আয়োজিত হয় পূর্ণ মর্যাদার শেষ শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান। সেখান থেকে সেনার বিশেষ গাড়িতে তেহট্টের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছয় শহিদের কফিনবন্দি দেহ।

শহিদ ঝন্টুর শেষ যাত্রায় জাতীয় পতাকায় মোড়া ছিল গোটা গ্রাম। আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছিল একটি বিশেষ মঞ্চ, যেখানে রাখা হয় তাঁর মরদেহ। বীর সন্তানকে এক ঝলক দেখতে ভিড় জমান গ্রামের মানুষ, আত্মীয়স্বজন, সহপাঠী ও প্রতিবেশীরা। চারপাশে শুধু কান্না আর “অমর থাকুন ঝন্টু শেখ” ধ্বনি ওঠে বারেবারে।

শহিদের দাদা, যিনি নিজেও সেনাবাহিনীতে কর্মরত এবং কাশ্মীরে পোস্টেড, তিনি জানান, “আমার ভাই দেশ রক্ষায় শহিদ হয়েছে। সে বদলা নিতে চেয়েছিল। পারেনি। তবে ভারতীয় সেনা নেবে। যারা এই কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে, তারা রেহাই পাবে না”।

যে গ্রামে জন্মানো, বড় হয়ে ওঠা, আজ সেই গ্রাম থেকেই শেষবারের মত বিদায় নিলেন শহিদ ঝন্টু শেখ। তাঁর মৃত্যু শুধু একটা পরিবার নয়, এক গোটা দেশের হৃদয়কে ছুঁয়ে গেছে। তাঁর রক্তের ঋণ শোধ করতে সেনা চালাচ্ছে জোরদার অভিযান। আর এই বলিদান মনে করিয়ে দিচ্ছে — ভারতীয় সেনার প্রতিটি জওয়ান প্রস্তুত, দেশের জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়তে।