শুভেন্দুর থেকে অর্থ সাহায্য নয়! স্পষ্ট অবস্থান কুড়মিদের

আইনি লড়াই বা যে কোনো ধরণের সাহায্য শুভেন্দু অধিকারীর থেকে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন কুড়মি নেতারা।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
া

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর : আইনি লড়াই বা যে কোনো ধরণের সাহায্য শুভেন্দু অধিকারীর থেকে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন কুড়মি নেতারা।  লড়াইয়ে অর্থ সংগ্রহের জন্য প্রতিটি গ্রামে পাঠানো হবে 'লক্ষ্মীর ভাঁড়'। বুধবার মেদিনীপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন কুড়মি নেতারা। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের 'নব জোয়ার' কর্মসূচিতে ঝাড়গ্রামের গড় শালবনীতে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশ্যে ‘চোর চোর’ বলে স্লোগান দেওয়া ও মন্ত্রী বীরবাহার গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে কুড়মিদের বিরুদ্ধে। তাতে মন্ত্রীর গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। অভিষেকের কনভয়েও হামলার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। কনভয়ে হামলার অভিযোগে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত সহ পনেরো জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও ওই ঘটনার দায় নেয়নি কুড়মি নেতারা। রাজেশ মাহাতকে খড়্গপুরের একটি স্কুল থেকে বদলি করা হয় কোচবিহারের একটি স্কুলে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, "আমি রাজেশ মাহাতকে বলব প্রতিহিংসার যে অর্ডার আপনাকে ধরিয়েছে আপনি আইনি লড়াই নিজে পারলে করুন, যদি বিরোধী দলনেতার সাহায্য দরকার হয় আমি করব।" বিরোধী দলনেতা বা কোনো রাজনৈতিক দলগুলির থেকে কোনোরকম সাহায্য নেওয়া হবে না বলে জানালেন কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুদীপ মাহাত। তিনি বলেন, "কুড়মি নেতাদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি উচ্চ আদালতে যাব আমরা। তার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে প্রতিটি কুড়মি গ্রামে ভাঁড় পাঠানো হবে। প্রতিটি বাড়ি থেকে এক টাকা করে সাহায্য নেওয়া হবে। পাশাপাশি তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক দুলাল মুর্ম্মু ও মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার নামে জঙ্গলমহলের প্রতিটি থানায় এফআইআর করা হবে বিরুদ্ধ মন্তব্য করার জন্য।" কমিটির সদস্য সুমন মাহাত জানিয়েছেন, "রাস্তায় এনে গণধোলাই দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন দুলাল মুর্ম্মু। তারপর থেকে আমরা আতঙ্কিত ভীতসন্ত্রস্ত।" তবে সবাইকে নিঃশর্তে মুক্তি না দেওয়া হলে এবং রাজেশ মাহাতকে কোচবিহারে বদলির সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে জঙ্গলমহল জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুড়মি নেতারা।