/anm-bengali/media/media_files/XsXE3o3oY8jsCnGE1KuB.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: নাবালিকা বিয়ে রুখে শিক্ষায় এগিয়ে নিয়ে যেতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে কন্যাশ্রী বিশ্বের দরবারে শিরোপা পেয়েছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে ২০২২ - ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে বিদ্যালয়গুলিতে প্রথম হল দাসপুরের সোনাখালি হাইস্কুল। কলেজগুলির মধ্যে মেদিনীপুর সিটি কলেজ।
প্রতিবছর জেলা প্রশাসনের বিচারে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার জেলাগুলিকে ২০১৩ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। সেই বিচারে কন্যাশ্রী দিবসের দশম বর্ষে জেলার মধ্যে নজরকাড়া সাফল্য পেল সোনাখালি হাইস্কুল। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মালবিকা পাল বলেন, '২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে কন্যাশ্রী প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা যেটা ছিল সেটা আমরা রূপায়ন করতে পেরেছি। আমরা ২৪৯ টি কে-১, ১১৮টি কে-২ রিনিউ করেছি। সেই বিচারেই আমরা জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছি। এই পুরস্কার শুধু কন্যাশ্রী নয়, আমাদের স্কুলকে সমস্ত দিক থেকেই খুব উৎসাহিত করবে'।
অন্যদিকে উচ্চশিক্ষার কলজেগুলিতে পাঠরত ছাত্রীদের নিরিখে প্রথম শালবনী ব্লকের অধীন মেদিনীপুর সিটি কলেজ। মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত এই কলেজে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজারের কাছাকাছি। তার মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪ হাজারের অধিক ছাত্রী পড়াশোনা করে। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে উচ্চশিক্ষার কন্যাশ্রী প্রকল্পে তৃতীয় স্থান পেয়েছিল মেদিনীপুর সিটি কলেজ। এবার প্রথম হয়েছে। এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি অধ্যক্ষ সুদীপ্ত চক্রবর্তীসহ সকল অধ্যাপক-অধ্যাপিকা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা। সোমবার জেলা পরিষদের শহীদ প্রদ্যুৎ স্মৃতিভবনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, জেলা শাসক খুরশীদ আলি কাদেরী, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতি প্রতিভা মাইতিসহ অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা।
সিটি কলেজের কর্ণধার প্রদীপ ঘোষ বলেন, 'আমরা আমাদের মেয়েদের নিরন্তর শিক্ষা দিয়ে থাকি যাতে তারা মূল শিক্ষার আঙিনা থেকে পড়তে পড়তে ড্রপ আউট না হয়। বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কিত আলোচনা বিষয়ক কর্মসূচি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগ প্রায় সময়ই আয়োজন করে থাকে। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি আগামী দিনে আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। আমরা বিদ্যাসাগরের জেলার বহু সংখ্যক ছাত্রীকে সেই পরামর্শে উদ্বুদ্ধ করব তারা যাতে উচ্চ শিক্ষার আঙিনায় আসে'। জেলাশাসক খুরশীদ আলি কাদেরী বলেন, 'এই বছর ৩০৯ জন নাবালিকার বিয়ে আটকেছে কন্যাশ্রী। এখন পর্যন্ত জেলায় ২১ শতাংশ নাবালিকা গর্ভবতী। তবে আগের থেকে নাবালিকা বিবাহ কমানো গিয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায়। এটা বিদ্যাসাগরের জেলা, শিক্ষা প্রসারের পাশাপাশি এখানে জিরো শতাংশ বাল্যবিবাহ করার প্রতিজ্ঞা নিতে হবে আমাদের'।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us