সুন্দরবনের জঙ্গলে শুরু হওয়া আড়াইশো বছরের প্রাচীন অরণ্য কালী পূজিত হচ্ছেন গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারের হাতে

প্রাচীন রীতি মেনে আজও পাঁঠা বলি হয় প্রাচীন অরণ্য কালীপুজোয়।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-10-15 at 11.58.34 AM

নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খলিসাদী গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন অরণ্য কালী মন্দিরটি চেনেন? তৎকালীন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই এলাকায় ছিল জঙ্গল আর সেখানেই গ্রামের মঙ্গল কামনায় এক সাধু বাবা জঙ্গলের মধ্যে শুরু করেছিলেন প্রাচীন অরণ্য কালীপুজো। তারপর আস্তে আস্তে পরবর্তীতে এলাকার মজুমদার পরিবার সেই দায়িত্ব ভার বেশ কিছু বছর পালন করে। পরবর্তীতে মজুমদার পরিবার এলাকা থেকে চলে যাওয়ার সময় এলাকার ভট্টাচার্য পরিবারের হাতে সেই পুজোর দায়িত্বভার হস্তান্তর করে। তারপর থেকেই ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের হাতে আজও পূজিত হচ্ছেন প্রাচীন এই অরণ্য কালী। 

Screenshot 2025-10-15 183921

কথিত আছে এই অরণ্য কালী মন্দিরের কালীমাতা খুবই জাগ্রত। কালীবাড়ি জঙ্গলের পাশে থাকা একটি স্নানের পুকুরে মা স্নান করে লাল পাড়ের শাড়ি পরে মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করতেন। ভট্টাচার্য পরিবার সহ অনেক ভক্তদের সামনেও মা এই রূপে দেখা দিয়েছেন শুধু নয় এই অরণ্য কালীমাতার কাছে যে যা মানত করে মন্দিরে সুতো ঢিল মেরে দিয়ে আসেন তারা কেউই খালি হাতে ফিরে আসেন না একথা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে পুজোর ১ সপ্তাহ আগে প্রতিমা বিসর্জন করে দেওয়া হয় ও ঠিক যেদিন পুজো শুরু হবে, সেই লগ্নে আবারও মায়ের মূর্তি স্থাপন করা হবে যা সারা বছর ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের হাতে পুজিত হবেন। তারা আরো জানিয়েছেন যে প্রাচীন রীতি মেনে এখনও পূজার দিন ৫ রকম ভাজা সহ ভোগ তৈরি হয় যা হাজার হাজার ভক্তরা গ্রহণ করেন। শুধু তাই নয় প্রাচীন রীতি মেনে আজও পাঁঠা বলি হয়ে থাকে। প্রাচীন এই অরণ্য কালীমাতার পূজা ঘিরে রয়েছে একাধিক রহস্য যা এলাকার মানুষের মুখে মুখে আজও শোনা যায়। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের এলাকা খলিসাদী সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই কালীমাতার নাম ছড়িয়ে পড়েছে বলে আজও বিভিন্ন জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা পূজার সময় ভিড় করেন এই অরণ্য কালী মন্দিরে। জানা যায় ২০২৫ সালে অর্থাৎ এই বছর ভট্টাচার্য পরিবারের পার্থ ভট্টাচার্য নামক ব্যক্তির হাতে এবার পূজার দায়িত্ব রয়েছে।