নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনসুকা এলাকা।মনসুকা এক ও দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝে বয়ে গিয়েছে ঝুমি নদী।প্রতিবছর ঝুমি নদীর জলে প্লাবিত হয় মনসুকার বিস্তীর্ণ এলাকা। হুগলি থেকে মনসুকা পেরিয়ে ঘাটালে আসেন বহু মানুষ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার করেন ঝুমি নদী ।হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ,হাট বাজার সহ নানান কাজে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের আসতে হয় ঘাটাল মহকুমা শহরে। ঝুমি নদীর উপর নেই কোন স্থায়ী সেতু, তাই বাঁশের সাঁকো, নৌকোয় চড়ে চলে ঝুমি নদী পারাপার। স্থানীয়দের চাহিদাকে মাথায় রেখেই ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি তৎকালীন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় ঝুমি নদীর উপর কংক্রিটের সেতুর শীলান্যাস করেন, গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে প্রায় কুড়ি কোটি টাকা অনুমোদিত হয়, শুরু হয় ব্রিজ তৈরির কাজ। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ কর অবশ্য পুরো অভিযোগটি চাপিয়েছেন ঠিকাদারি সংস্থার উপর। তার দাবি, ''খুব ধীর গতিতে কাজ হচ্ছে। জেলাশাসকও এই নিয়ে ঠিকাদারি সংস্থাকে ধমক দিয়েছেন।আমরা চাই ব্রিজের কাজ দ্রুত হোক।'' আড়াই বছর ধরে আড়াইটি পিলারের কাজ হয়েছে, বর্তমানে ব্রিজ তৈরির কাজ বন্ধ।স্থানীয় মানুষ চাইছেন দ্রুতগতিতে তৈরি হোক ব্রিজ। নদীর উপর একাধিক অস্থায়ী কাঠের সেতু বা একাধিক বাঁশের সাঁকো থাকে তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় কিন্তু,ঝুমি নদীর জল বেড়ে গেলেই সেইসব সাঁকো জলের তোড়ে ভেঙে যায়,ফলে নদী পারাপারে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বহু মানুষদের।