ব্যালট পেপার খেয়ে ফেলেছিলেন! সেই বুথে আবার হবে ভোট

মূলত তিনটি জেলার তিনটি ব্লকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল এবং হুগলির সিঙ্গুর রয়েছে সেই তালিকায়। এই তিন ব্লকেই ব্যালট পেপার নাকি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

New Update
ballotp

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোটে হেরে যাচ্ছেন এমনটা বুঝতে পেরে বিপক্ষের ব্যালট পেপার খেয়ে ফেলেছিলেন এক প্রার্থী। পঞ্চায়েত ভোটের সেই তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটির বুথে গোটা পঞ্চায়েত ভোটই বাতিল বলে ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজ্যের আরও ১৯টি বুথের ভোট বাতিল বলে ঘোষণা করে দেওয়া হল। 

বুধবারই সমাপ্ত হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের গণনা। ফল প্রকাশ হয়েছে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনের। গণনা শেষের পরই কমিশন জারি করেছে ভোট বাতিলের বিজ্ঞপ্তি। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে ব্যালট পেপার নষ্ট করে দেওয়ায় রাজ্যের ২০টি বুথে আবার নতুন করে হবে পঞ্চায়েত ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল এবং হুগলির সিঙ্গুরে বাতিল করা হয়েছে ভোট। হাওড়ার সাঁকরাইলে মোট ১৫ বুথে ভোট বাতিল করা হয়েছে। এর পরেই হাবড়া ২। সেখানে ভুরকুণ্ডা গ্রামের ৩১ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন মহাদেব মাটি। নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার মহাদেবের ওই বুথসহ হাবড়া ২- এর মোট ৪টি বুথের ভোট বাতিল করে দিয়েছে। এর পাশাপাশি সিঙ্গুরের একটি বুথে ভোট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন তাঁর বুথে ব্যালট নষ্টের কথা বললেও, মহাদেব আগে জানিয়েছিলেন যে তিনি নাকি ব্যালট পেপার খাননি। এমনকি এ কথাও বলেছিলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যালট খাওয়ার যে রটনা হয়েছে তা একেবারেই নাকি মিথ্যা। যা শোনা গিয়েছিল তা হল, মহাদেব ৪ ভোটে হারছিলেন। সেই সময়েই বিপক্ষের ব্যালট পেপার খেয়ে নেন। এই নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়। যদিও মহাদেবের দাবি, যাঁরা এ কথা বলছেন, তাঁরা প্রমাণ ছাড়াই এই দাবি তুলেছেন। তিনি কখনওই গণনায় পিছিয়ে ছিলেন না। বরং ২৬ ভোটে জিতেই যাচ্ছিলেন। মহাদেব ব্যালট খান বা না খান, নির্বাচন কমিশনের বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তে তাঁকে নিয়ে এই রটনা একেবারেই মাটি হয়ে গেল। 

কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী যে বুথগুলিতে ভোট বাতিল হয়েছে সেগুলি হল- সাঁকরাইলের মানিকপুর ২৪৭ থেকে ২৫৪ নম্বর পর্যন্ত মোট ন’টি বুথ। সারেঙ্গার ২৬৭, ২৬৮ (দু’টি), ২৭১ (দু’টি) এবং ২৭৭ নম্বর বুথ। সিঙ্গুরের বেরাবেরির ১৩ নম্বর বুথ। এবং হাবড়া ২-এর ভুরকুণ্ডার ১৮ নম্বর বুথ (দু’টি), ৩১ নম্বর বুথ এবং গুমা পঞ্চায়েত কেন্দ্রের ১২০ নম্বর বুথ।