/anm-bengali/media/media_files/2025/12/12/whatsapp-image-2025-12-12-at-2025-12-12-17-46-14.jpeg)
NNNN
নিজস্ব সংবাদদাতা : রান্না খোলা আকাশের নিচে, রান্নার সামগ্রী রাখা হচ্ছে বাথরুমে, বাথরুমের সম্মুখে হাটের চালিতে চলছে পঠন পাঠন। হ্যাঁ ঠিকই ভাবছেন এটা মূলত একটি আইসিডিএস সেন্টার।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা বিধানসভার খড়্গপুর ২ নং ব্লকের বাড়গোকুলপুর এলাকায়। অভিভাবকদের অভিযোগ—খোলা আকাশের নিচে এবং হাটের চালার ভেতরে বাচ্চাদের পড়াশোনা চলছে, রান্না হচ্ছে ওপেন স্পেসে, আর বাথরুমের ভিতরেই রাখা হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী।
অভিভাবকদের মতে,“বাচ্চাদের পাঠাতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ঠান্ডা হাওয়া, ধুলো—বালির মধ্যে ক্লাস চলছে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
বিশেষত ঝর্ণা ভট্টাচার্য নামে এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—“বাচ্চারা এদিক–ওদিক ছুটে যায়, রাস্তাঘাটও খুব কাছে। এমন পরিস্থিতিতে পড়াশোনা নয়, প্রতিদিনই আমরা আতঙ্কে থাকি।” যদিও সেন্টারের কর্মীরা খুব দায়িত্বতার সাথে চালিয়ে চলেছেন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/12/12/whatsapp-image-2025-12-12-at-2025-12-12-14-10-17.jpeg)
সেন্টারের কর্মী কৃষ্ণা সুর চক্রবর্তী জানিয়েছেন—"বারবার উপরের দপ্তরে জানিয়েছি, কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। সেন্টারটির অবস্থা অত্যন্ত জরাজীর্ণ, বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।”
অন্যদিকে পলশা–৭ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌর হরি জানা স্বীকার করেছেন—
“সমস্যাটি বহুদিনের। আমরা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। যতদিন না স্থায়ী সমাধান হচ্ছে, ততদিন খাদ্যসামগ্রী বাথরুমে না রেখে পঞ্চায়েতের অফিসে রাখার নির্দেশ দিয়েছি।”
তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন,''গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস সেন্টার থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে, তবুও কেন দিনের পর দিন শিশুদের এভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলে রাখা হচ্ছে?''
স্থানীয়দের দাবি,“আইসিডিএস শিশু–পুষ্টি ও শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এই অবস্থায় চলতে পারে না। অবিলম্বে নতুন স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে হবে।”এলাকায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ বাড়ছে।
বাচ্চাদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার স্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব অভিভাবকেরা। এই প্রসঙ্গে (CDPO)Child Development Project Officer সুখেন্দু মাজি জানান,
অস্থায়ী ভাবে ওই জায়গায় জিনিসপত্র রাখা হচ্ছে।আমরা গত দু বছর ধরে শিফট করার চেষ্টা করেছিলাম। এবার সরকারি বিল্ডিং ছাড়া তো শিফট করা সম্ভব নয়, পাশাপাশি ওই জায়গার আশেপাশে তেমন কোন সরকারি জমি নেই,বিল্ডিং করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে একটু অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের সাথে আমরা কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেব।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us