WEST BENGAL: আরও এক দুর্নীতি ফাঁস! চাকরি অন্তত ৫৪৭ জনের

শিক্ষা এবং পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির পর রাজ্যে আরও এক নিয়োগ দুর্নীতি ধরা পড়ল। এবার নজরে মাদ্রাসা। জাল নথিপত্রের ভিত্তিতে কয়েকশো জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।

author-image
Anusmita Bhattacharya
আপডেট করা হয়েছে
New Update
MADRASA

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকে ঘিরে এখনও উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলার রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক, যুব নেতা থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের অনেকেই। এর মধ্যেই আবার একটা নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ ধরা পড়ল রাজ্যের অন্য শিক্ষা দফতরে। এবার চোখ মাদ্রাসায়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে কয়েকশো জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল জাল নথিপত্রের ভিত্তিতে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি বা সিবিআই বা রাজ্যের পুলিশও নয়, এই বেনিয়ম ধরা পড়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের তদন্তেই। তদন্তের স্বার্থে বড় ভূমিকা পালন করছে সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা নিযুক্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর বলছে যে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য দেওয়া মোট ৫৪৭টি অবৈধ নিয়োগপত্র পাওয়া গেছে। তদন্ত চলেছে। ডিরেক্টর অফ মাদ্রাসা এডুকেশন আবিদ হুসেন এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। আবার এও জানান যে আরও বেশ কিছু অবৈধ নিয়োগপত্র ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবিদ হুসেন বলেন যে যেটুকু ধরা পড়েছে, তার ফলে রাজ্য সরকারের বহু কোটি টাকার ক্ষতি আটকানো গেছে। সব জাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে চাকরি হয়ে গেলে রাজ্যকে এখনই প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দায় নিতে হত।

প্রাথমিক তদন্তের পর মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর অনুমান করছে যে নথি জাল করে, পুরনো তারিখ দেখিয়ে অন্তত ৯০০ জনকে এমন নিয়োগপত্র দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। কীভাবে নজরে এল এই বেনিয়ম? জানা গেছে যে কয়েক বছর ধরে পড়িয়ে বা অশিক্ষক কর্মী হিসেবে কাজ করে ঠিক মতো বেতন পাননি, এমন দাবি তুলে ৯০০-র মতো আবেদনপত্র পাঠানো হয় দফতরে। আবেদনপত্রের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় নিয়োগপত্র। সন্দেহ হওয়াতেই শুরু করা হয় এর তদন্ত। ৯০০ জনের মধ্যে ৫৪৭টি নিয়োগপত্র ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখেছে সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করে দেওয়া কমিটি। ৫৪৭টি নিয়োগপত্রই অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গেছে। কিছু দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। এই চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির প্রভাবশালীরাও কেউ কেউ জড়িত বলেও অনুমান করা হচ্ছে। জাল নিয়োগপত্রগুলি মান্যতা পেয়ে গেলে সরকারের বকেয়া বেতন বাবদ ৪০০ কোটি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি আরও ৩০ কোটি টাকা খরচ হত প্রতি বছর।