নিজস্ব সংবাদদাতা : তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর সম্প্রতি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মুখ খুলেছিলেন। তার দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের প্রশাসনিক কাঠামোয় আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে, কারণ তিনি দলের এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ। এরপরে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য হুমায়ুন কবীরকে দিল্লি গিয়ে আলোচনা করার দায়িত্ব দেন।
তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের পরেও নিজের অবস্থান থেকে এক পা সরেননি হুমায়ুন কবীর। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত, কারণ তার নেতৃত্বে তৃণমূলের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের পরও হুমায়ুন কবীরের এই অবস্থান দলের ভেতরে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য এবং দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা এখন নতুন দিক নিতে চলেছে।
এটি দলের ভেতরে একটি নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যেখানে একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া গুরুত্ব পাচ্ছে, অন্যদিকে হুমায়ুন কবীরের মতো নেতারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনে আরও বেশি ভূমিকা দেখতে চাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি দলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।