গলার নলি কাটা, ঘর ভেসে গেল রক্তে! কেঁপে উঠল বাংলা

গলার নলি কেটে স্ত্রীকে খুন স্বামীর। সবংয়ে তীব্র চাঞ্চল্য।

New Update
murder

দিগ্বিজয় মাহালী, সবং: পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন করল স্বামী। বুধবার ভোররাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ১১ নং মোহাড় অঞ্চলের বরদা এলাকায়। মৃত গৃহবধুর নাম উমা দাস জানা (২৯)। বাড়ি বরদা এলাকায়। বাবার আক্রমণ থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় ছেলেও। ঘটনায় অভিযুক্ত গুরুপদ জানা পলাতক। 

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছর আগে উমার সঙ্গে বরদা এলাকার গুরুপদ জানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেশ কয়েক বছর সংসার সুখ-স্বাচ্ছন্দে চললেও মাস কয়েক আগে থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি প্রতিনিয়ত হতো। বুধবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ছেলেকে নিয়ে তিনজনেই ঘুমিয়ে পড়ে। ভোররাতে গুরুপদ স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কোপাতে শুরু করে। 

মায়ের চিৎকার শুনে ছেলে সন্তু জানা বাধা দিতে যায়। ছেলে বাধা দিতে গেলে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ছেলেকেও চুরি দিয়ে আঘাত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূ পড়ে রয়েছে। মায়ের পাশে কান্নাকাটি করছে ১৪ বছর বয়সী ছেলে সন্তু। মৃত গৃহবধূর বাবা গুরুপদ দাসের অভিযোগ, জামাই প্রতিনিয়ত মদ্যপান করে বাড়ি ফিরতো। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি হতো। তারই প্রতিবাদ করায় মেয়েকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জামাই,তারপর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। 

এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃতদেহ ও আহত ছেলেকে উদ্ধার করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনায় সবং থানায় এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পারিবারিক অশান্তি নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে সবং থানার পুলিশ আধিকারিকরা। অভিযুক্তর খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকরা।

flavourfood

flamefood1

cityaddnew