/anm-bengali/media/media_files/2025/07/15/whatsapp-image-2025-07-15-2025-07-15-18-26-26.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: দুর্যোগ ও দুর্ভোগ দুটোই পিছু ছাড়ছে না ঘাটালবাসীর। প্রায় ১ সপ্তাহ হতে চলল জলমগ্ন হয়ে রয়েছে ঘাটাল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সাথে নদীগুলির জলস্তর নতুন করে বাড়তে থাকায় প্রশ্ন উঠছে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক কবে হবে আর জল যন্ত্রণা থেকে কবে মিলবে মুক্তি। উত্তর নেই কারুর কাছে। টানা বৃষ্টির জেরে ঘাটালে শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জলস্তর বেড়ে প্লাবিত হয় ঘাটাল পুর ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। জল বাড়ছে চন্দ্রকোনায় শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীতেও। এখনও প্লাবিত ঘাটাল পৌরসভার ১৩টি ওয়ার্ড আর ঘাটাল ব্লকের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। ডুবে রয়েছে রাস্তাঘাট, স্কুল, রাজ্যসড়ক। জল পেরিয়ে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতের ভরসা একমাত্র ডিঙি ও নৌকা। চরম ভোগান্তি ও দুঃশ্চিন্তায় বানভাসি ঘাটাল।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে প্লাবিত এলাকায় চলছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ত্রাণ শিবির। জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করছে ঘাটাল পুরসভা। প্লাবিত পুর ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে ঘাটাল পৌরসভা ও ঘাটাল ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জরুরি প্রয়োজনে প্লাবিত এলাকা থেকে উদ্ধারকার্যের জন্য ঘাটালে মোতায়েন রয়েছে রাজ্য পুলিশের সিভিল ডিফেন্স।এক কথায়, ঘাটালে বন্যা মোকাবিলায় সজাগ রয়েছে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। বর্ষার প্রথম ভয়াবহ বন্যায় চন্দ্রকোনায় শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীর একাধিক বাঁধ ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। নদীর জল আরও বাড়লে ভাঁঙা বাঁধ দিয়ে সহজে জল ঢুকে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় চন্দ্রকোনার নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। তবে চন্দ্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়নি এখনও। চলতি বর্ষার ১ মাসও হয়নি আর তারই মাঝে পরপর ৩টি বন্যার সম্মুখীন ঘাটালবাসী। কৃষিকাজ থেকে জনজীবন সবকিছুই বিপর্যস্ত। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/15/whatsapp-image-2025-07-15-2025-07-15-17-59-59.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us