১০ লক্ষ টাকা! ব্যাঙ্ক কর্মীর কীর্তি ফাঁস

ব্যাঙ্কে বীমা! সাবধান হন। জামুড়িয়ায় সর্ষের মধ্যেই ভূত। বীমার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা। ব্যাঙ্কেরই কর্মী ঘটিয়েছেন গোটা ঘটনা। ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রাহকরা।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
Zsc

হরি ঘোষ, জামুড়িয়া : ইনস্যুরেন্সের নামে ১০ লক্ষেরও বেশি টাকা  প্রতারণার অভিযোগ উঠল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। মহুয়া মুখার্জী নামে SUDI লাইফ বীমা কোম্পানির এক মহিলা কর্মীকে আটক করেছে জামুড়িয়া থানার পুলিশ। ঘটনাটি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার জামুড়িয়া  শাখায় ঘটেছে।শনিবার দুপুরে গ্রাহকরা ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় পুলিশ গিয়ে ওই মহিলা কর্মী ও ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে থানায় নিয়ে আসে।

zcxsd

গ্রাহকদের অভিযোগ, তারা ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় গিয়ে ইনস্য়ুরেন্স করেছিলেন। তারা জানেন যে সেটি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিজস্ব ইনস্যুরেন্স। মোটা টাকার পর তাদেরকে কাঁচা কাগজে রিসিভ কপি দেওয়া হয়। যখন তারা পাকা রশিদ চাইতে যান তখন তাদেরকে বারংবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হতে আজ তারা ব্যাঙ্কে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তাদের মত প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জন গ্রাহক প্রতারিত হয়েছে।

 

ggg



জামুড়িয়া শাখার ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ম্যানেজার রাজদীপ দে জানান, সুদ লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে। সেইমতো গ্রাহকদের কাছে বীমা করানো হয়। কিন্তু অভিযুক্ত মহুয়া মুখার্জি নিজস্ব নকল রশিদ ছাপিয়ে নগদে বহু গ্রাহকের কাছে টাকা নিয়েছেন বলে তারা অভিযোগ পেয়েছেন। যে টাকাগুলো ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে সেগুলি সুরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু যেগুলি নগদ টাকায় কারবার হয়েছে সেটি ব্যাঙ্কের কোন দায়িত্ব থাকছে না।

ইনস্যুরেন্স কোম্পানি সুদ লাইফ ইনস্যুরেন্সের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক তন্ময় মুখার্জি জানান, প্রতিটি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শাখায় তাদের প্রতিনিধি রয়েছে। কিন্তু যেভাবে তাদের প্রতিনিধি মহুয়া মুখার্জি গ্রাহকদের কাছে প্রতারণা করেছে, তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রাহকদের কাছে নকল রশিদ দিয়ে প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মহুয়া মুখার্জি। যেটি সম্পূর্ণভাবে ব্যাঙ্কের নিয়ম বহির্ভূত। কিভাবে এই ঘটনাটি ঘটলো সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করে দেখবে সুদ লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।

কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, তারা তো  ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে গিয়ে ইনস্যুরেন্স করিয়েছেন। তাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় কে ব্যাঙ্কের কর্মী আর কে ইনস্যুরেন্স  কর্মী। এই ধরনের সংস্থার কর্মীকে কিভাবে ব্যাঙ্কের ভেতরে অফিস খুলে বসতে দেওয়া হল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।