ক্ষেতে চাষাবাদ, খাতায় কবিতা! বি.এড পাশ কৃষক বুঁদ সাহিত্যচর্চায়

আড়ম্বর নেই জীবনযাত্রায়।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
COVERwriter

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: তৎকালীন সময়ে স্নাতক পাশ করেছেন, করেছেন বি.এডও। তবে পারিবারিক এক ফসলি জমিতে চাষাবাদ করা আর পুকুর রক্ষণাবেক্ষণ করার কারণে চাকরির জন্য আবেদনও করেননি। তাই জীবন কাটছে সাদামাটাভাবে। 

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাংলা-ওড়িশা সীমানা এলাকা, দাঁতন থানার জামুয়াপতি এলাকার বাসিন্দা অতনু নন্দন মাইতি বরাবরই সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত। পাঞ্জাবি-পাজামা আর কাঁধে ঝোলানো একটি ব্যাগ, এমনই দেখে অভ্যস্ত সকলে। তবে তাঁর গুণ চমকে দিয়েছে সকলকে। সামান্য চেহারার মানুষ তিনি। বয়স ৬৫ পেরিয়েছে। চাষাবাদের পাশাপাশি সমানতালে চলে সংস্কৃতি চর্চা। কবিতা-প্রবন্ধ-গল্প লেখায় কলম থামে না। গ্রামীণ এলাকার নানা সংস্কৃতি-ইতিহাস চর্চা করেন তিনি। প্রান্তিক জেলায় থেকে পৈতৃক জমিতে চাষাবাদ করে সংসার চালান। তবে পরিচিতি তাঁর কলমের জন্যই। 

স্কুলে প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ এবং কবিতা থেকেই ঝোঁক শুরু। এরপর অতনু নন্দন মাইতি কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় পত্রিকায় নানাবিধ লেখা লিখেছেন। দৈনিক এক সংবাদপত্রেও তিনি নিয়মিত নানা প্রবন্ধ ও বিষয়ের উপর লেখালেখি করতেন। এরপর প্রায় ২০ বছর আগেই তিনি একটি পাক্ষিক সংবাদ ও সংস্কৃতি চর্চার পত্রিকা প্রকাশ করেছেন। নিজের সম্পাদনাতেই তিনি স্থানীয় ইতিহাস সংক্রান্ত তথ্য, সংবাদ তাতে তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, তিনি লোক সংস্কৃতি, নানা ইতিহাস, গ্রামীণ রীতি নিয়ে লিখেছেন বইও।  প্রসঙ্গত, বাবা চাকরি করতেন। বাড়িতে তেমন লেখালেখির চল ছিল না। তবে স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু। এরপর সেই ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এখনও তাঁর কাছে বহু মানুষ আসেন নানা গ্রামীণ সংস্কৃতি, শিল্প এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানতে।

Adddd