/anm-bengali/media/media_files/2025/05/14/jsoTtt162xaiMk1FzAVZ.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: প্রশাসনের নাকের ডগায় গোপীবল্লভপুরের সাতমার সুবর্ণরেখা নদী থেকে দেদার চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। নকল অনুমতি পত্র ব্যবহার করে রমরমিয়ে বালি পাচার হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকেই অবৈধভাবে বালি পাচার রুখতে তৎপর ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ।
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও গোপীবল্লভপুরের ভুমি দফতরের নাকের ডগায় গোপীবল্লভপুরের সাতমা এলাকার সুবর্ণরেখা নদী থেকে দেদার চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। তবে এবার প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে বালি পাচারকারীদের নতুন কৌশল ভেস্তে দিল নয়াগ্ৰাম থানার পুলিশ প্রশাসন। কখনও বালি বোঝাই গাড়ির নাম্বার প্লেট নকল করে বালি পাচার করা হচ্ছে, আবার কখনও নকল বালি তোলার অনুমতি পত্র (সিও) ব্যবহার করে দেদার চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। এবার গোপন সূত্রে খবর আসে নয়াগ্রাম থানার পুলিশের কাছে। নকল বালি তোলার অনুমতি পত্র (সিও ) ব্যবহার করে গোপীবল্লভপুরের সাতমা এলাকার সুবর্ণরেখা নদী থেকে অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাকগুলি রমরমিয়ে অবৈধভাবে বালি পাচার করছে বিভিন্ন রুট দিয়ে। সোমবার রাতে খবর পাওয়া মাত্র নয়াগ্রাম থানার বিশাল পুলিশবাহিনী নয়াগ্রাম থানা চত্বরে রাজ্য সড়কের উপর নাকা চেকিং চালিয়ে অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাককে আটক করল। সেই সঙ্গে ঘটনায় ২জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার অভিযুক্ত গাড়ির চালক ও খালাসিকে ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করে নয়াগ্ৰাম থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হল গনেশ গোপ ও ননিগোপাল মাহাত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই বালি বোঝাই ট্রাকের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়া হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং এলাকার বালি তোলার অনুমতি পত্র (সিও ) ব্যবহার করা হচ্ছে যা নিয়ে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। জানা গেছে, বেআইনি বালি পাচার রুখতে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অবৈধভাবে বালি পাচার রুখতে একাধিক লরি আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যার জেরে এবারে সরকারি কোষাগরে ৪০৮ হাজার টাকা কর আদায় হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/06/KlajZpSrXJIroQpPfEEf.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us