/anm-bengali/media/media_files/2025/05/28/cudx0lEjCZTIjwdimWHa.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার পুলিশের কাছে খবর ছিল গত দুদিন ধরে চন্দ্রকোনার বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষার নাম করে এলাকায় এলাকায় ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন রকম নথি সংগ্রহ করছিল বেশ কিছু যুবক ও ২ মহিলার একটি সমীক্ষক টিম। খবর পেয়ে তৎপর হয় ও তদন্তে নামে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই টিমের ৩ জনকে প্রথমে গ্রেফতার করে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দিনভর অভিযান চালিয়ে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলে। পুলিশের কাছে সামনে আসে ভুয়ো তথ্য সংগ্রহের নামে এলাকার মানুষের কাছ থেকে পরিচয়পত্র ও গোপন তথ্য সংগ্রহ করছে এরা। চন্দ্রকোনা থানার একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই টিমের সদস্যদের পাকড়াও করে পুলিশ। একটি মারুতি ইকো গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছ। ৯টি মোবাইল ছাড়াও অনেক ভুয়ো আই কার্ড পাওয়া গেছে যেখানে বিভিন্ন কোম্পানির নাম রয়েছে। এরা মুলত ১১টি বিধানসভা এলাকার সার্ভে করতে এসেছিল বলে পুলিশের দাবি। এদের বিরুদ্ধে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দা এরা। ধৃতরা হল:
১) কার্তিক মাইতি (খড়গপুর লোকাল, সুলতানপুরের বাসিন্দা)
২) প্রনিক মন্ডল (উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা)
৩) শ্রমির দত্ত (শালবনী- পশ্চিম মেদিনীপুর)
৪) তহিদুল শেখ (নদীয়া)
৫) সায়নী কুন্ডু (নন্দকুমার পূর্ব মেদিনীপুর)
৬) সোনালী মান্ডি (পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আনন্দপুর)
৭) সুবর্ণ ঘোষ (ভদ্রেশ্বর- হুগলী)
৮) আশিক শেখ (নদীয়া- নাকাশিপাড়া)
৯) শম্ভুনাথ হালদার (উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা)
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/28/8HBboqH3duvl3rpI04pY.jpeg)
ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়ে মানুষকে প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ এও জানায় যে এই টিম হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের ডিপ লেন্স রিসার্চ কোম্পানির হয়ে সার্ভে এক্সপ্রেস অ্যাপ- এর মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের গুরুত্বপুর্ন নথি সংগ্রহ করার কাজ করছিল। এদিকে চন্দ্রকোনা শহরের এক হোটেল মালিকের দাবি, তার হোটেলে উঠেছিল কয়েকজন যুবক আইপ্যাকের নাম নিয়ে। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করেন পুলিশ প্রশাসনকে যে রাজ্যে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এলাকায় এলাকায় সমীক্ষা চলছে এবং মানুষের থেকে গোপন তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চলছে। পাশাপাশি দলীয় স্তরেও সজাগ থাকার বার্তা দিয়েছেন। তারপরই চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ পেল এই বড়সড় সাফল্য।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/05/Ufadah1Lvcad4hck5iW7.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us