ফের হাতির তাণ্ডব ঝাড়গ্রামে, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ৩ জন

আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-06-24 at 12.22.08 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ফের দলছুট হাতির হানায় আতঙ্কের পরিবেশ ঝাড়গ্রামের গ্রামে-গঞ্জে। সোমবার গভীর রাতে ঢোলকাট গ্রামের পুকুরিয়া থেকে চন্দ্রি যাওয়ার পথে ১ মহিলা ও ২ যুবক অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। বন দফতরের সতর্কতা উপেক্ষা করেই তারা বিপদের মুখে পড়েছিলেন বলে জানা গেছে। 

সূত্রের খবর, ৩ জন রাতে মোটরসাইকেলে করে চন্দ্রির দিকে যাচ্ছিলেন। পুকুরিয়া বিটের ঢোলকাট এলাকায় বন দফতরের কর্মীরা হাতির উপস্থিতি সম্পর্কে জানিয়ে রাস্তা আটকে দেন। তবে সতর্কতা মানেননি তারা। কিছুদূর এগোনোর পর আচমকাই এক দলছুট হাতির মুখোমুখি হয়ে যান। আতঙ্কে তারা মোটরসাইকেল ফেলে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। প্রথমে ওই ৩ জনের খোঁজ না পাওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে নিজেরাই ঘটনাস্থলে ফিরে আসেন। মহিলার মোবাইল ফোনটি রাস্তার পাশের ঝোপে পড়ে ছিল। বনকর্মীরা সেই নম্বরে ফোন করে মোবাইলটি খুঁজে পান। রাত প্রায় ১২ টা নাগাদ বনকর্মী ও স্থানীয়রা হাতিটিকে সরিয়ে এনে ৩ জনকে উদ্ধার করেন। পরে বন দফতরের গাড়িতে তাদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় হাতির উপদ্রব বেড়েই চলেছে। পুকুরিয়া, কুন্ডলডিহি, শিমুলডাঙ্গা, ঢেঁকিপুড়া, বহরাশুলি, আঁধারিশোল, কুসুমডাঙ্গা, পাথরচাকরি, গামারিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রতিদিনই একাধিক হাতির গতিবিধি দেখা যাচ্ছে। দিনের বেলা তারা আমবাগান, লাউ, ভুট্টা, কাঁঠাল সহ নানা সবজির ক্ষেত দখল করছে। আর রাত নামলেই তারা ভাগ হয়ে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ছে, বাড়িঘর ভাঙচুর থেকে শুরু করে মানুষের জীবনে বিপদের কারণ হয়ে উঠছে।

বন দফতর চেষ্টা করেও হাতিগুলোকে এলাকা থেকে সরাতে পারছে না। প্রশাসনের তরফে এখনই কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

diguadnew

WhatsApp Image 2025-06-24 at 12.13.02 PM