/anm-bengali/media/media_files/2025/07/18/whatsapp-image-2025-07-18-at-2025-07-18-11-31-20.jpeg)
ELEPHANT
নিজস্ব সংবাদদাতা - ঝাড়গ্রাম জেলায় ফের এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল তিনটি হাতি। শুক্রবার গভীর রাতে, প্রায় ১ টা নাগাদ, ঝাড়গ্রাম থেকে খড়গপুরগামী জনশতাব্দী এক্সপ্রেস বাঁশতলা স্টেশনের কাছে পৌঁছতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বনদপ্তর ও হুলা পার্টির সদস্যরা তখন হাতিদের ড্রাইভ (অর্থাৎ নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ) করছিলেন। ঠিক সেই সময় একটি বয়স্ক হাতি ও দুটি শাবক হাতি রেললাইনের উপরে উঠে পড়ে। অন্ধকারে চলন্ত ট্রেন তাদের দেখতে না পেয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তিনটি হাতির মৃত্যু হয়। মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনদপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বনদপ্তরের কর্মীরা দ্রুত মৃত হাতিগুলিকে উদ্ধার করতে নামে। তবে প্রশ্ন উঠছে বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/18/whatsapp-image-2025-07-18-at-2025-07-18-11-31-04.jpeg)
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ''পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হুলা পার্টির সদস্যদের নিয়োগ না করায় একের পর এক এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।'' বনদপ্তরের পক্ষ থেকে আগেভাগে কোনও সক্রিয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের। ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন অংশে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু তার থেকে কোনও শিক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন না সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, “প্রতিবারই আমরা হাতির মৃত্যু দেখি, পরে বনদপ্তর আসে। কবে আগে থেকে প্রস্তুতি নেবে বনদপ্তর? কবে বন্ধ হবে এই প্রাণহানি?” এই ঘটনার পর বনদপ্তরের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পরিবেশপ্রেমী মহল এবং সাধারণ মানুষ – সকলেই এবার জোরালোভাবে দাবি তুলেছেন, বনদপ্তরের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ এবং প্রযুক্তিসম্পন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের। প্রশ্ন রয়ে যায়, কবে জাগবে বনদপ্তর? আর কত হাতির মৃত্যু হলে তৎপর হবে প্রশাসন?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us