'বুলেট নয়, ব্যালটের মাধ্যমে ভোট', গর্জে উঠলেন রাজ্যপাল

উল্লেখ্য, আজ পঞ্চায়েত ভোট শুরু হতেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে এবার গর্জে উঠলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

author-image
SWETA MITRA
New Update
gvernor.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পঞ্চায়েত ভোটে মুহুর্মুহু সন্ত্রাস প্রসঙ্গে এবার গর্জে উঠলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতার খবরের মধ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শনিবার বলেছেন যে নির্বাচন "বুলেট নয়, ব্যালটের মাধ্যমে" হওয়া উচিত এবং এই দিনটিকে গণতন্ত্রের জন্য "সবচেয়ে পবিত্র" হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 

রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে, রাজ্যপাল যখন উত্তর চব্বিশ পরগনায় ভোট দিতে যাচ্ছিলেন, তখন কয়েকজন সিপিআই (এম) প্রার্থী সিভি আনন্দ বোসকে বাধা দেন বলে অভিযোগ। সিপিআই (এম) প্রার্থীরা রাজ্যপালের কাছে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। 

যদিও রাজ্যপাল বলেন, “আমি সকাল থেকেই ময়দানে আছি। লোকজন আমাকে অনুরোধ করে এবং পথে আমার কনভয় থামিয়ে দেয়। তারা আমাকে তাদের চারপাশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের কথা বলেছিল। তাঁরা বলেছিল কীভাবে গুন্ডারা তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি। আর এহেন ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আজকের দিনটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে পবিত্র দিন। নির্বাচন অবশ্যই ব্যালটের মাধ্যমে হতে হবে, বুলেটের মাধ্যমে নয়।“ 

উল্লেখ্য, রাজ্যের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।
ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে। বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, "রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে রক্তপাত অব্যাহত রয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগনায় এক নির্দল মুসলিম প্রার্থীকে খুন করল তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূল শুধু হিংসা, খুন ও বুথ দখলের ভাষা জানে।“ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনার রাজীব সিনহা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।“ 

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী শশী পাঁজা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আজ এক ভিডিও বার্তায় বলেন,  "পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আজ সকাল থেকে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি, সিপিআই (এম) এবং কংগ্রেস একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য চিৎকার করছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায়? কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে? টিএমসি কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, দু'জনকে গুলি করা হয়েছে। যারা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলছিল তাঁরা এখন কোথায়? তারা বলছিল যে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী নাকি শান্তির রক্ষক, কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে, নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।“