/anm-bengali/media/media_files/2025/09/21/whatsapp-image-2025-09-21-at-2025-09-21-19-46-35.jpeg)
durga puja
নিজস্ব সংবাদদাতা : আজ থেকে প্রায় ৩৫০ বছর আগে উড়িষ্যার কটকের জাজপুর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ের মোহাড়ে এসে বসবাস শুরু করে লবন আন্দোলনে কর্মরত দারোগা রমাপ্রসাদ মহান্তি। সেইসময় অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার মোহাড়ের "নিমকি মোহাড়" বলে এক জায়গায় লবণ উঠতো। সেই জায়গায়, লবণ রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারির জন্য দায়িত্ব ছিল জাজপুরের রমাপ্রসাদ মহান্তির। একদিন মা স্বপ্নাদেশ দেন যে দূর্গা পুজো করলে উনি সন্তান লাভ করবেন। সেই মত রমাপ্রসাদ মহান্তি স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরেই দুর্গা পুজো শুরু করেন এবং তারপরেই সন্তান লাভ করেন। ছেলেরও নাম দেওয়া হয় দুর্গাপ্রসাদ মহান্তি। বাবার শুরু করা দূর্গা পূজা কে এগিয়ে নিয়ে যায় দুর্গাপ্রসাদ মহান্তি। আর সেই মহান্তি থেকেই বর্তমানে পদবির নাম হয় মাইতি। প্রথম সময়ে ৩৫০ বছর আগে ঘট পূজো ও শাল্য গ্রাম শিলার ঘট পূজা হত এই জায়গায়। তারপর মাঝে অনেক বছর কেটে যায়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/n8ISFo8pne6k6SmZJZ0h.jpg)
তারপরে ১৯৯৪ সাল থেকে মূর্তিপূজা শুরু হয় মোহাড়ের বাসিন্দা প্রভাত মাইতির উদ্যোগে। সপ্তমীতে কেলেঘাই নদীতে ঘট তোলা হয়,অষ্টমীতে প্রসাদ বিতরণ, বাড়ির লোকজন সবাই সামিল হয় এই পূজোতে। বর্তমানে এই পুজো মাইতি বাড়ির পুজো নামেই পরিচিত। তবে সাবেকিআনায় পরিবারের রীতি রেওয়াজ মেনেই এই পুজো প্রায় ৩৫০ বছর পেরিয়ে গেল। এখন আর সেই লবন তোলার জায়গায়ও নেই। সমস্ত কিছুই বিলীন হয়ে গিয়েছে । তবে এখন মাইতি বাড়ির পুজো সার্বজনীন রূপ পেয়েছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us