নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লক শুধু একটি প্রশাসনিক নাম নয়, এক ঐতিহ্যের ঠিকানা। এখানকার মাদুর শিল্প আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে বিদেশেও। বিশেষ করে সবং ব্লকের সারতা সহ আশপাশের গ্রামগুলোতে ঢুকলেই দেখা মেলে এক অনন্য চিত্র—ঘরের উঠোনে, বারান্দায়, কখনো আবার খোলা উঠোনে পরিবারের মহিলারা মাদুর বুনছেন নিপুণ হাতে। পুরুষরাও থাকেন সেই কাজে সহযোগী। কার্যত এটি রূপ নিয়েছে এক সফল কুটির শিল্পে।
শুধু ছাপানো বা সাধারণ মাদুরই নয়, শিল্পীরা তৈরি করেন নকশা খচিত নানান জিনিস—ব্যাগ, টুপি, পুতুল, ল্যাম্পশেড, এমনকি ঝাড়বাতিও। শিল্প ও সৃজনশীলতার এই মিলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সারতা গ্রাম।
/anm-bengali/media/post_attachments/76a438be-454.png)
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২০১৯ সালে এই গ্রামে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হয় মাদুর রিসার্চ সেন্টার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দফতরের অধীনে এটি গড়ে উঠেছে।
এই গ্রামেরই মাদুর শিল্পী গৌরীবালা দাস, যিনি নকশা খচিত বিশেষ ধরনের মাদুর তৈরি করে পেয়েছেন জাতীয় স্বীকৃতি। তার হাতে তৈরি মাদুর উপহার স্বরূপ তুলে দেওয়া হয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের হাতে। এই সম্মান শুধু গৌরীবালার নয়, গোটা সবং, গোটা মেদিনীপুরের।