অজয়ের সেতুতে মরণফাঁদ !

যেকোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অজয়ের নয়া সেতুতে ঝুঁকির পারাপার করছেন বাইক আরোহীরা।

author-image
Debjit Biswas
New Update
DEBJIT

নিজস্ব সংবাদদাতা : দুই পাশ খোলা, মাঝখানে ইটের স্তুপ। অজয়ের নয়া সেতুতে ঝুঁকির পারাপার বাইক আরোহীদের। উদ্বোধনের আগেই ক্ষোভ সাধারণ মানুষের। এর দায় সম্পূর্ণ প্রশাসনের সমালোচনায় বলছেন বিরোধীরা। এখনও কিছুটা কাজ বাকি আছে সেই জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে সেতু দাবি পঞ্চায়েত সমিতির। বীরভূম আর পশ্চিম বর্ধমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদার করতে কাঁকসার শিবপুর এবং বীরভূমের জয়দেবের অজয় নদের মাঝে তৈরি হয়েছে স্থায়ী সেতু। এই সেতু তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। সেতুতে নীল সাদা রং করা হয়েছে এবং পথবাতি লাগানো হয়েছে। এখনও বাকি রয়েছে কিছু কাজ। উদ্বোধন হতেও এখনও কিছুটা সময় লাগবে। তবে দেখা যাচ্ছে কাঁকসার শিবপুরের দিকে এবং বীরভূমের জয়দেবের দিকে অজয়ের সেতুর উপর যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে। তাতেই সেই সেতু দিয়ে যাতায়াতের চেষ্টা করা হচ্ছে  বাইক, স্কুটি এবং চার চাকার গাড়ি নিয়ে। সেতুর মাঝে ভাঙা ইটের স্তূপ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাস্তা। তাতেই ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে বাইক চালকদের। টোটো,অটো আর চার চাকার চালকরা যাচ্ছেন ঘুরে ঘুরে। যাতায়াতকারী মানুষজনের অভিযোগ, সেতুর দুই পাশ খোলা হলো অথচ মাঝপথ বন্ধ করা হয়েছে। তাদের গাড়ি নিয়ে যেতে গিয়ে বিপাকের মুখে পড়তে হচ্ছে। সেতু শুরুর দুই পাশে তাহলে কেন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, 'উদ্বোধনের আগে যাতায়াত করা যাবে না' সেই কথা লেখা হলো না।

AJAY

নরেশ গরাই নামের বাইক আরোহীর অভিযোগ,"অজয়ের অস্থায়ী সেতুতে যানজট আর ধুলোর দাপট। সেই জন্য নতুন সেতু দিয়ে যাতায়াত করছি। কিন্তু মাঝে যেভাবে ইটের স্তুপ করা হয়েছে তাতে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হতে পারে। আমরা চাইছি তাড়াতাড়ি এই ইট সরানো হোক।" সমালোচনায় সরব হয়ে বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"সেতুর দুই প্রান্ত চালু রেখে মাঝখানে বন্ধ করা হয়েছে। কেউ ভুল করে ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে গেলে মাঝপথে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে? প্রশাসনের কাছে জানতে চাইছি কেন এইভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।" যদিও কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন,"এখনো কিছুটা কাজ বাকি রয়েছে। উদ্বোধনও হয়নি। সেইজন্য সেতুর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেতু শুরুর দুইপ্রান্তেই ব্যারিকেট করা ছিল। মানুষ ব্যারিকেট খুলে চলে যাচ্ছে। আপাতত এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে সাধারণ মানুষকে বারণ করা হচ্ছে। তবে আর কিছুদিন পরেই উদ্বোধন হয়ে যাবে। তারপরেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।"