সোলা সঙ্কট! পেটে টান শিল্পীদের

উৎসবের মরশুমে প্রতিমা সজ্জার এক উল্লেখযোগ্য উপকরণ হল সোলা। সোলার কাজ করেই অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবে বর্তমানে চাহিদা মতো সোলা নেই বাজারে। সমস্য়ায় শিল্পীরা।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
asdsw

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : পুজোর আগে ব্যস্ততা তুঙ্গে চন্দ্রকোনার ডিঙ্গাল গ্রামের মালাকার পরিবারে। চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের সঙ্কটে দুঃশ্চিন্তায় মালাকার পরিবারগুলি।এরা বংশপরম্পরায় সোলার কাজ করেন। সোলার চাঁদমালা, মুকুট, প্রতিমার অঙ্গসজ্জার নানান গহনা। দুর্গাপুজোর সময় এদের ব্যস্ততা চরমে ওঠে। যেমন এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাঁদমালা সহ সোলার বিভিন্ন গহনা তৈরি করতে। নিজঘরের দাওয়ায় বসে চাঁদমালায় ডিজাইন তুলতে যে তুলনায় পরিশ্রম হয় সেই তুলনায় রোজগার হয় না। তবুও পূর্বপুরুষদের পেশাটাকে ছাড়তে পারেনি বলে জানাচ্ছেন মালাকার পরিবারের সদস্যরা। আগে গ্রামে অধিকাংশ পরিবার এই কাজের সাথে যুক্ত ছিল,বর্তমানে পরিশ্রমের তুলনায় রোজগার কম। তার উপর কাঁচা মালের সঙ্কট।এই পেশা থেকে মুখ ফেরাচ্ছে অনেক পরিবার।বংশপরম্পরায় চলে আসা এই পেশা ধরে রেখেছেন ডিঙ্গাল গ্রামের প্রদীপ মালাকার ও তার পরিবার।সামনেই দুর্গা পুজো তাই ডিঙ্গাল গ্রামের মালাকার পরিবারে সোলার গহনা তৈরিতে হাত লাগিয়েছে পরিবারের পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা সদস্যরাও। পরিবারের দাবি,তাদের এই কাজের মূল সম্পদ হল সোলা,সেই সোলা এখন অমিল নিজেদের এলাকাতেই। ফলে বাইরে থেকে চড়া দামে সোলা কিনে এনে গহনা তৈরির কাজ করতে হয়।পূর্ব মেদিনীপুর,হাওড়া থেকে তারা পাইকারি দরে সোলা কিনে এনে এইসব উপকরণ তৈরি করেন। সেই সোলাও এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছে না।সোলার গহনা তৈরির সাথে যুক্ত প্রদীপ মালাকার জানান,'আগে প্রচুর সোলা পাওয়া যেত লোকালয়ে,এখন তা মেলেনা,বাইরে থেকে দ্বিগুন দামে কাঁচামাল সোলা কিনতে হয়।এখন নানা কারণে সোলার সঙ্কট দেখা দিচ্ছে,অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামও বেড়েছে।তুলনায় মালা,চাঁদমালা সহ গহনার দাম বাড়েনি।' দুর্গাপুজোর সময় বিভিন্ন দশকর্মার দোকান থেকে চাহিদামত অর্ডার আসে,এবারও বেশকিছু অর্ডার এসেছে ইতিমধ্যেই।সোলার গহনার চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের জোগান কম থাকায় চাহিদা মতো গহনা তৈরি করে ডেলিভারিও দিতে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।পাশাপাশি মালাকার পরিবারগুলির দাবি,'এখন আধুনিক জিনিসপত্র বেরিয়ে যাওয়ায় সোলার কাজের কদর কমেছে,তাই আমাদেরও কমেছে রোজগারপাতি।' সরকারি সাহায্যের দাবি উঠছে মালাকার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।