নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যার মধ্যেই দুর্গাপুজো কার্নিভালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সমালোচনায় সরব হয়েছিল অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলও। মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় বসে সেই সমালোচনার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্ত গলায় ব্যাখ্যা করলেন, কেন সেদিন তিনি কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন না এবং তাঁর গেলে কীভাবে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটত।
মমতা বলেন, “দুর্ঘটনা ঘটলে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হয় উদ্ধারকাজে। কেউ কেউ রাজনীতি করছে, তখন প্রশ্ন তুলছে কেন কার্নিভাল হল? আরে এটা বাংলার গর্ব, ঐতিহ্য। এত ক্লাব, এত শিল্পী সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। বিদেশি অতিথিরাও আসেন। হঠাৎ করে সব বাতিল করা যায় না"।
তিনি আরও যোগ করেন, “সেদিন যদি আমি যেতাম, তাহলে কী করতাম? আমাদের বা ভিআইপি দেখতে গিয়ে উদ্ধারকাজ থেমে যেত। পুলিশ কাকে সামলাত? বিপদের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই কাজ, ভিআইপিদের ট্রিটমেন্ট নেওয়া নয়"।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/1000069632.jpg)
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির কারণে বহু রাস্তা ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন করে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছে রাজ্য সেচ ও জনপথ দফতর (PWD)। এই অবস্থায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপ পাহাড়ের জন্য বিপজ্জনক বলে সতর্ক করেন তিনি।
মমতার কথায়, “ভিআইপির নামে ৩০-৪০টা গাড়ি একসঙ্গে ঢুকছে। এতে পাহাড়ে চাপ তৈরি হয়। আমি নিজে যাই তিনটে গাড়ি নিয়ে—একটা সামনে, একটা পিছনে। আমি মাঝখানে থাকি। তাই বলেছি, আমাদের কেউ গেলে তিনটির বেশি গাড়ি নিয়ে যাবে না"।
উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার থেকেই রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করছেন। এদিনও তিনি উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
কেন জাননি ঘটনার দিন? এবার মুখ্যমন্ত্রী জানালেন উত্তর
দুর্ঘটনা ঘটলে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হয় উদ্ধারকাজে।
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যার মধ্যেই দুর্গাপুজো কার্নিভালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সমালোচনায় সরব হয়েছিল অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলও। মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় বসে সেই সমালোচনার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্ত গলায় ব্যাখ্যা করলেন, কেন সেদিন তিনি কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন না এবং তাঁর গেলে কীভাবে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটত।
মমতা বলেন, “দুর্ঘটনা ঘটলে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হয় উদ্ধারকাজে। কেউ কেউ রাজনীতি করছে, তখন প্রশ্ন তুলছে কেন কার্নিভাল হল? আরে এটা বাংলার গর্ব, ঐতিহ্য। এত ক্লাব, এত শিল্পী সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। বিদেশি অতিথিরাও আসেন। হঠাৎ করে সব বাতিল করা যায় না"।
তিনি আরও যোগ করেন, “সেদিন যদি আমি যেতাম, তাহলে কী করতাম? আমাদের বা ভিআইপি দেখতে গিয়ে উদ্ধারকাজ থেমে যেত। পুলিশ কাকে সামলাত? বিপদের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই কাজ, ভিআইপিদের ট্রিটমেন্ট নেওয়া নয়"।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির কারণে বহু রাস্তা ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন করে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছে রাজ্য সেচ ও জনপথ দফতর (PWD)। এই অবস্থায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপ পাহাড়ের জন্য বিপজ্জনক বলে সতর্ক করেন তিনি।
মমতার কথায়, “ভিআইপির নামে ৩০-৪০টা গাড়ি একসঙ্গে ঢুকছে। এতে পাহাড়ে চাপ তৈরি হয়। আমি নিজে যাই তিনটে গাড়ি নিয়ে—একটা সামনে, একটা পিছনে। আমি মাঝখানে থাকি। তাই বলেছি, আমাদের কেউ গেলে তিনটির বেশি গাড়ি নিয়ে যাবে না"।
উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার থেকেই রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করছেন। এদিনও তিনি উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।