/anm-bengali/media/media_files/2025/10/06/whatsapp-image-2025-10-06-at-185004-2025-10-06-21-51-41.jpeg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সোমবার হামলার শিকার হলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে খগেন মুর্মুকে। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি শিবির। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সংঘাত নয়, একসঙ্গে কাজ করাই এখন জরুরি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবাই একসঙ্গে সঙ্কটের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা দরকার। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। এমন কোনও ঘটনা যেন না ঘটে যা কাম্য নয়। কারও উপর আঘাত নয়, সবাই যেন মানুষের পাশে দাঁড়ান”। তিনি আরও যোগ করেন, “৩০-৪০টি গাড়ি নিয়ে বন্যাকবলিত এলাকায় গেলে ক্ষোভ বাড়ে”।
তবে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সন্তুষ্ট নয়। দলের নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো ভালো কথা বলে বিষয়টাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। আগে থেকে হামলার আশঙ্কা জেনেও কেন পুলিশ ব্যবস্থা নিল না? হামলাকারীদের শাস্তি দিতে হবে”।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/1000069632.jpg)
উল্লেখ্য, সোমবার নাগরাকাটায় পরিদর্শনে গিয়ে আচমকা হামলার মুখে পড়েন খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের গাড়িতে ইট-পাথর ছোড়া হয়, কাচ ভেঙে যায়, এবং পিছন থেকে হামলা চালানো হয় সাংসদের উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলার পিছনে রয়েছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেছে, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষই ওই হামলা চালিয়েছে।
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার থেকে নিশীথ প্রামাণিক—সকলেই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us