ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিম মেদিনীপুরে, চরম ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা

হুড়োহুড়ি পরে গেছে কৃষকদের মধ্যে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
Screenshot 2025-10-27 160501

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে রয়েছে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আর এতেই ঘুম উড়েছে চন্দ্রকোনার কৃষকদের। মাঠ থেকে তড়িঘড়ি পাকা ধান তুলে নিচ্ছে ধান চাষীরা। এখনও জমিতে রয়ে গিয়েছে পাকা ধান, তাই এসময় ভারি বৃষ্টি হলে চরম ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। অপরদিকে কপালে চিন্তার ভাঁজ আলু চাষীদেরও। 

সদ্য মাঠ থেকে ধান তুলে পোখরাজ আলু লাগানোর জন্য জমিতে রাসায়নিক সার দিয়ে জমিকে আলু চাষের জন্য উপযোগী করে ফেলেছে চাষীরা। এসময় বৃষ্টি হলে পুনরায় জমিকে চাষের জন্য উপযোগী করতে হবে আর এর ফলে পিছিয়ে যাবে চাষ। অসময়ে আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় বিপাকে পড়তে হবে ধান ও আলু চাষীদের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ধান ও আলু চাষের গড় হিসাবে পরিচিত।চাষীদের কথায়, এবছর ধান চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে শোশক পোকার কারণে। এবছর ধানের দামও কম। মাঠে বিঘার পর বিঘা জমিতে পাকা ধান রয়েছে। তড়িঘড়ি মাঠ থেকে ধান তোলা শুরু হলেও সবটা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না বলে দাবি ধান চাষীদের। অপরদিকে চন্দ্রকোনার সীতানগর, ঢলবাঁধ, ফাঁসিডাঙ্গা, পিয়ারডাঙ্গা, ধামকুড়িয়া সহ বিস্তীর্ন এলাকায় জলদি আলু তথা পোখরাজ আলু চাষ শুরু হয়। ধান তুলে পোখরাজ আলু চাষের জন্য এইসব এলাকায় রাসায়নিক সার দিয়ে জমি উপযোগী করেছে কৃষক। সঙ্গে কিনে ফেলা হয়েছে আলুর বীজও। বৃষ্টি হলে সেইসব জমিকে পুনরায় আলু চাষের জন্য নতুন করে প্রস্তুত করতে হবে। সময় লাগবে এতে। এর জেরে পিছিয়ে যাবে পোখরাজ আলুর চাষ। এককথায় ঘূর্ণিঝড় মান্থার প্রভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আবহাওয়া দফতরের ভারি বৃষ্টির সতর্কতায় ঘুম উড়েছে চন্দ্রকোনার কৃষকদের। মাঠ থেকে পাকা ধান তুলে তা ঝাড়াই করে বাড়িতে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা।

Cyclone