নিজস্ব প্রতিনিধি, দিঘাঃ "প্লাস্টিক করো বর্জন, সুস্বাস্থ্য হোক অর্জন" এই স্লোগানকে সামনে রেখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন "ক্লিন দিঘা, গ্রিন দিঘা" গড়ার লক্ষ্যে এক গুচ্ছ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করল।
মঙ্গলবার দিঘা-শঙ্করপুর কর্তৃপক্ষের দফতরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিঘাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার একাধিক পরিকল্পনার শুভ সূচনা হল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, রামনগর ১ ব্লকের বিডিও পূজা দেবনাথ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই শারসহ অন্যান্যরা। যত্রতত্র প্লাস্টিক ও নোংরা আবর্জনা ফেললে প্রকৃতির উপর কি প্রভাব পড়ে তা এদিন স্ক্রিনে তথ্যচিত্রের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়। সুমধুর গানের সুরে এবার পরিচ্ছন্নতার বার্তা। গানে গানে অলিগলি পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকার দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের। হুইসেল নয় বরং মনোগ্রাহী গানের সুরে আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিচ্ছন্নতার বার্তা নিয়ে এবার সৈকত শহরের অলি-গলিতে পৌঁছে যাচ্ছে পর্ষদ ভ্যান। "আয় খুকু আয়" গানের সুরে বাঁধা হয়েছে নতুন সচেতনতামূলক গান। সকাল হলেই সৈকত শহরের হোটেলে হোটেলে পৌঁছে যাবে আবর্জনা সংগ্রহের ভ্যান। সেখানেই বাজানো হবে সচেতনতামূলক এই গান যা থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পর্যটক উভয়েই সচেতন হবে বলে মনে করছে ডিএসডিএ। ইতিমধ্যে গানে গানে এই আবর্জনা সংগ্রহের বিষয়ে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় নবজাগরণ ঘটেছে গোটা সৈকত শহর দিঘায়। পর্যটকদেরও জোয়ার প্রায় প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে। সৈকত শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিনিয়ত দেখা যায় হোটেলগুলির একাংশ যত্রতত্র ময়লা ও আবর্জনা ফেলে রাখে। ফলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সৈকতে। তাই হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং পর্যটক উভয়কে যাতে সচেতন এবং অঙ্গীকারবদ্ধ করা যায় সেই নিয়ে গান বাঁধা হয়েছে।