“বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি"- সুকান্ত মজুমদার কি বললেন?
ফের স্যালাইন কাণ্ডে মৃত্যু! ৪ মাসের লড়াই শেষে হার নাসরিন খাতুনের
পাকিস্তান ধ্বংস হতে চায়- কি বললেন মদন?
রাহুল গান্ধী দাবি করতে পারেন, মানলেন দিলীপ ঘোষ- সকাল সকাল ধামাকা
পাঠানকোটের স্থানীয় বাসিন্দা কি বলছেন?
রাজ্যে বিজেপিকে রাখতে এ কি করলেন যোগী- ভিডিও প্রকাশ হয়ে যেতেই ভাইরাল
একের পর এক ডুব- গঙ্গার জলে সারি সারি মানুষ- বড় ভিডিও প্রকাশ্যে
'এই হল সিপিএমের দেশপ্রেম- দেশপ্রেম, তবে কোন্ দেশের প্রতি, confused'- পাকিস্তানের হয়ে গুনগান- বড় ভিডিও সামনে এনে শোরগোল ফেলে দেওয়া হল
রাতে কি আবার গর্ত থেকে বেরোয় পাকিস্তান? কেমন কাটলো সীমান্তের রাত? জানুন

কোথাও জলস্তর নিচে, কোথাও অকেজো সরকারি পাম্প! তীব্র জলকষ্ট শুরু

গরমে বিকল পাম্প। তীব্র তাপপ্রবাহের মাঝেই জল সঙ্কটে চন্দ্রকোনার মেটেলা গ্রাম। চাহিদা মিটছে না, দাবি গ্রামবাসীর।

author-image
Anusmita Bhattacharya
আপডেট করা হয়েছে
New Update
COVERw

নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দ্রকোনা: কোথাও জলস্তর নেমে গিয়েছে আবার কোথাও অকেজো হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে বসানো সরকারি পাম্প। তার জেরে পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেটেলা গ্রামে। 

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই চন্দ্রকোনার মেটেলা গ্রামে সাব মার্সিবল পাম্প থেকে জল উঠছে না। গরমে জলস্তর নেমে যাওয়াতেই ওই বিপত্তি। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে পাম্প সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও গ্রীষ্মের দাবদাহে জলস্তর নেমে যাওয়ায় তা সারিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। মেটেলা গ্রামের প্রায় ৬০টির মতো পরিবার ও তারও পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু মানুষ মাস কয়েক যাবত এই পানীয় জলের সমস্যায় জর্জরিত। পানীয় জল পেতে কখনও অন্যের বাড়িতে তো আবার কখনও চাষের কাজে ব্যবহৃত জলাধারে গিয়ে জল সংগ্রহ করতে হতো গ্রামবাসীদের। গ্রামে থাকা কুয়োর জলও বাড়ির কাজে ব্যবহার করতে হয় বলে দাবি বাসিন্দাদের। 

পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছিল গ্রামবাসীদের তরফে। পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা গ্রাম পরিদর্শনও করে গিয়েছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের। কিন্তু স্থায়ীভাবে জল সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। জলের চাহিদা পূরণ করতে PHE দফতরকে দিয়ে গ্রামে দুইবেলা গাড়িতে করে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। আর তাতে জল নিতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বলে দাবি জলকষ্টে ভোগা গ্রামবাসীদের। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, এই গরমে পানীয় জল তো আর মেপে খরচ করা যায় না। যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটাও পর্যাপ্ত নয়। অকেজো পাম্প দ্রুত সারিয়ে স্থায়ী সমাধানের দাবি করছেন তাঁরা। 

মেটেলা গ্রামের পানীয় জলের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দয়াল লোহার। তিনি জানান, 'গ্রাম পঞ্চায়েতকে একমাস আগে গ্রামবাসীরা একটা দরখাস্ত করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে মিস্ত্রি নিয়ে গিয়ে বিকল পাম্প সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও জলস্তর এতোটাই নেমে যায় যার জেরে সারানো যায়নি। বিকল্প হিসাবে বিডিও সাহেবকে বলে PHE থেকে গাড়িতে করে জল সরবরাহ করা হচ্ছে'। তবে এই জল যে এতো গরমে পর্যাপ্ত নয় তা মানছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও। এমনিতেই তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল অবস্থা,তার উপর পানীয় জলের সমস্যায় ভোগান্তি চরমে চন্দ্রকোনার মেটেলা গ্রামের বাসিন্দাদের।

Add 1