/anm-bengali/media/media_files/2025/09/09/whatsapp-image-2025-09-09-2025-09-09-15-31-29.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার ব্লকের নয়া গ্রামমাঠে উৎসবের আনন্দ আর সৃষ্টির মহোৎসব। পুজোর আগে থেকেই পটচিত্র শিল্পীরা তাঁদের ব্রাশ, রঙ আর পারদর্শিতার মাধ্যমে মণ্ডপ ও হোটেল সাজিয়ে তুলছেন। এ বছরের এই উৎসব পটচিত্র শিল্পীদের জন্য কেবল সনদের মর্যাদা নয়—একটি স্বপ্নের যাত্রাও বটে।
গ্রামের প্রখ্যাত শিল্পী স্বর্ণচিত্রকর, আড়াই ফুট চওড়া ও চার ফুট লম্বা ৮০টি দুর্গা পটচিত্রের কাজ প্রায় সমাপ্ত করেছেন। “এই পটচিত্র কোনও মণ্ডপের জন্য নয়, এগুলো যাবে কলকাতার একটি নাম করা হোটেলে", তিনি জানালেন। এর জন্য তিনি পাচ্ছেন ৭ লক্ষ টাকা। "এখন সারা বছর কাজ হয়"। তিনি যোগ করেন, “বিশ্বের দরবারে নয়া’র পটচিত্রের পরিচিতি ঘটিয়েছে বাংলার পিংলার পটশিল্পীরা। পিংলার পটের কথা সবাই জানে"।
স্বনামধন্য শিল্পী বাহাদুর চিত্রকর, রূপসনা চিত্রকর, নাজরা চিত্রকর, রাজেশ চিত্রকর প্রমুখ কলকাতার একটি মণ্ডপ সাজানোর জন্য পেয়েছেন ২ লক্ষ টাকার বেশ কিছু পটচিত্র অর্ডার। তাঁদের কাজের ধরন—দুর্গা, কৃষ্ণ এবং নানা পৌরাণিক দৃশ্য—বিভিন্ন মাপের পটচিত্র। এছাড়া এখন নানা মফস্বলে পটের ক্লিচে ছাপানো টি-শার্ট, কুর্তি, শার্ট, দোপাটা ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে—এই সব দিয়েই হচ্ছে সম্প্রসারণ আর ভালো হচ্ছে আর্থিক অবস্থা।
পুরনো দিনে দলে দলে ঘুরে গান গাইতে গাইতে উপার্জন করতে হত, এখন আর সে প্রয়োজন পড়ে না। পটশিল্পীরা পেয়েছেন সরকারি বৃত্তি এবং ভাতা—সরকারিভাবে তাঁদের কাজের স্বীকৃতি এসেছে। পাশাপাশি, বাজারে, মণ্ডপে, হোটেলে পটের ঝলক দেখা যায়। পুজোর আগে কাজের এমন চাহিদা দেখতে পেয়ে খুশি শিল্পীরা। প্রত্যেকের কথায় বিরক্তির বদলে উদ্যম—“সবাই কমবেশি কাজ পাচ্ছি, এখন সারা বছরই কাজ হচ্ছে"।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/09/09/whatsapp-image-2025-09-09-2025-09-09-15-31-50.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us