/anm-bengali/media/media_files/2025/06/12/OfacjwbZdSgddkITpBel.png)
File Picture
নিজস্ব প্রতিনিধি: দাসপুরে যুবককে পিটিয়ে খুন, তীব্র চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। ১১ জুন বুধবার দুপুরে দাসপুর থানার চাঁইপাট এলাকায় বাঁকিবাজার গ্রামের এক বছর ২৮ এর যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল গ্রামেরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ওই যুবক সুরজিৎ জানা (২৮)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১ টা থেকে টানা ঘণ্টাখানেক যুবকের উপর চলে নির্যাতন, লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়, চলে লাথি, ঘুষি, চড়চাপড়, মারধরের জেরেই ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। পাড়ার মাঝে তিনমাথার রাস্তায় দাঁড় করিয়ে বেধড়ক মারধর-এর জেরে যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই যুবকের মা কল্পনা জানা গ্রামেরই বেশ কয়েকজন মহিলা ও যুবকের বিরুদ্ধে থানায় খুনের মামলা রুজু করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাত সাড়ে বারোটায়।। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গেছে, রাতে যুবক পাশের বাড়িতে নিজেরই কাকিমার শোবার ঘরে দরজা খুলে ঢুকে রীতিমতো বিছানায় উঠে কাকিমার মেয়ে অর্থাৎ নিজেরই বছর সতেরোর বোনের শ্লিলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে সেই সময় অঘোর ঘুমে ছিলেন কাকিমা, মেয়ের চিৎকার শুনে কাকিমা উঠে বসেন এবং যুবকের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তবে বুধবার বেলা গড়াতেই ঘটনা রীতিমতো অন্যরকম মোড় নেয়। যুবকের কাকিমা নিভারানি জানা দাসপুর থানায় যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যাবার সময় যুবক গালিগালাজ শুরু করলে, যুবককে ধরে গণপিটুনি চলে, সেই গণপিটুনিতেই যুবকের মৃত্যু হয়।
/anm-bengali/media/post_attachments/9b10dd11-fe8.png)
কাকিমা বলেন, "আমার বড় মেয়ে মন্দিরা নাবালিকা, তারই শ্লিলতাহানি করতে চেয়েছিল সুরজিৎ। আমি চিৎকারে জেগে উঠি, এবং টর্চ লাইট দিয়ে তার মাথায় ও গায়ে আঘাত করি। সেই সময় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। সকালে সুরজিৎ আমাকে গালিগালাজ শুরু করলে পাড়ার ছেলেরা তাকে মারধর করে, তার কাছ থেকে একটি ফোন উদ্ধার হয়, যেটিতে যুবক কার কার বাড়িতে ঢুকবে সেই লিস্ট ছিল বলে দাবি তুলেছেন অভিযোগকারিণী কাকিমা। বেলা ১২:৩০ নাগাদ মারের চোটে যুবক অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। এই ঘটনায় সারা এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় দাসপুর থানার ওসি, সেকেন্ড অফিসার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা পালাবার তালে ছিল তবে চাঁইপাট গ্রামের ভিলেজ পুলিশের বুদ্ধিমত্তায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত কাকিমা সহ মোট ৯ জনকে আটক করেছে দাসপুর থানার পুলিশ। মৃতের মাকেও থানায় জিজ্ঞাসাবাদ-এর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবকের মা। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us