রাস্তায় ভাঙা কাচ, মাথার উপর ফাইটার জেট, তিক্ত অভিজ্ঞতা শোনালেন অনিরুদ্ধ!

কী বললেন অনিরুদ্ধ?

author-image
Aniket
New Update
WhatsApp Image 2025-06-28 at 11.20.42

পশ্চিম মেদিনীপুর: হঠাৎ অ্যালার্ম বেজে উঠল! ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি যখন গভীর সঙ্কটে, তখনই ‘অপারেশন সিন্ধু’ চালু করে ভারত। ইরান ও ইজ়রায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরত আনার জন্য শুরু হয়েছিল এই অপারেশন। তার মাধ্যমেই দেশে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ। কিন্তু সেটাও সহজ হয়নি। প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি তিনি। সেই কারণে ইজ়রায়েল থেকে জর্ডন হয়ে ভারতে ফেরা প্রথম বিমানে তিনি জায়গা পাননি। ১৩ জুন ভোর থেকে ইজ়রায়েল-ইরানের যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯ জুন রেজিস্ট্রেশন করেন তিনি। তার পরে শনিবার আমেরিকাও ইরানের উপর হামলা করায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছিল। আতঙ্কের পরিস্থিতির মাঝেই রবিবার বিকেলে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে তিনি জানতে পারেন যে দেশে ফিরতে চলেছেন তিনি। ২৩ জুন, সোমবার ভারতীয় সময় সকাল ১১ টা নাগাদ ইজ়রায়েলের তেল আভিভ থেকে অনিরুদ্ধ-সহ প্রায় ৩০০ জনকে নিয়ে বিশেষ বাস রওনা দেয় মিশরের শার্ম-এল-শেখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে।

সোমবার গভীর রাতে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমান (C-17 Globemaster) অনিরুদ্ধদের নিয়ে দিল্লি পাড়ি দেয়। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছয় ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। অনিরুদ্ধদের নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির বঙ্গভবনে। বুধবার গভীর রাতে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে কলকাতাগামী বিমানে ওঠেন মেদিনীপুরের শালবনির ছেলে অনিরুদ্ধ। বৃহস্পতিবার ভোর ৩ টা নাগাদ পৌঁছন কলকাতায়। এরপর, সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে রূপসী বাংলা ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরা। বৃহস্পতিবার ভাউদি গ্রামে নিজের বাড়িতে পৌঁছন অনিরুদ্ধ। তাকে দেখে তার বাবা-মার চোখ তখন জলে ভাসছে। বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে বসেও আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছিল না। ইজ়রায়েলের যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা বলার সময়ে অনিরুদ্ধের চোখেমুখে যেন স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল উদ্বেগের ছাপ। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে কলকাতা হয়ে এদিন সকালে শালবনির ভাউদি গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছেন ইজরায়েলের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অনিরুদ্ধ বেরা। তাঁকে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বাবা-মা। আর অনিরুদ্ধ কী বলছেন? তাঁর মুখে শোনা গেল ভারতীয় দূতাবাসের ভূয়সী প্রশংসা।