সাঁকো ভেঙে বিপত্তি! দুর্ভোগ! বিকল্প নৌকা

টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। সাঁকো ভেঙে বিপত্তি। একাধিক গ্রামের মানুষ সমস্যায়। পারাপার চলছে নৌকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। তাতেই বেহাল অবস্থা। রাস্তা, সাঁকো সবেরই বেহাল দশা।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
১১১১১১



দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : টানা ভারি বৃষ্টি আর তাতেই নদী-খালে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। জলস্তর বেড়েছে চন্দ্রকোনার ধর্মপোতা ও চাষীবাড় এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কেঠিয়া খালের।কেঠিয়া খালের জলস্তর বাড়তেই তাতে ভেসে আসা কচুরিপানার চাপে ভেঙে গেল ধর্মপোতায় গ্রামবাসীদের তৈরি একটি বাঁশের সাঁকো। অপরদিকে, একই ছবি পাশের চাষীবাড় এলাকায়,কেঠিয়া খালের জলের তোড়ে ভেঙে গেল চাষীবাড়ে খালের উপর তৈরি করা একমাত্র যাতায়াতের মোরাম রাস্তা।চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই দুই জায়গায় কেঠিয়া খালের উপর বাঁশের সাঁকো ও খালের মধ্যে তৈরি রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম সমস্যায় পড়েছে ধর্মপোতা-চাষীবাড় সহ একাধিক গ্রামের মানুষ।অগত্যা গ্রামবাসীদের উদ্যোগে ধর্মপোতায় খাল পারাপারের জন্য একটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে,উদাসীন প্রশাসন।ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মপোতা ও চাষীবাড় এলাকার।এই দুই এলাকার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে কেঠিয়া খাল,এই খালের উপর ধর্মপোতা গ্রামবাসীদের উদ্যোগে পারাপারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল একটি বাঁশের সাঁকো।ওই সাঁকোই একমাত্র ভরসা ছিল একাধিক পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষ সহ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের,বর্তমানে সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও।অন্যদিকে, ওই কেঠিয়া খালের উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত একটি কাঠের সেতু তৈরি করেছিল যা বছর দুই আগে বন্যায় ভেঙে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিল,তারপর থেকে নতুন করে সেতু তৈরি না হওয়ায়,চাষীবাড়ে কেঠিয়া খালের উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য অস্থায়ী ভাবে নদীর চর বরাবর মোরামের রাস্তা তৈরি করেই চন্দ্রকোনায় যাতায়াত ছিল চাষীবাড়,কৃষ্ণপুর সহ পাশের হুগলি জেলার মানুষের।সেই চাষীবাড় এলাকায় কেঠিয়া খালের উপর যাতায়াতের একমাত্র  রাস্তাটিও জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে।ধর্মপোতায় বাঁশের সাঁকো ও চাষীবাড়ে নদীর উপর অস্থায়ী রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় একাধিক গ্রামের মানুষের এই দুই জায়গায় নদী পারাপারে কিভাবে যোগাযোগ স্থাপন হবে সেই নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে এলাকার মানুষজন।তবে ধর্মপোতায় গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকোর জায়গায় একটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ,প্রতিবছর বন্যার সময় এই একই সমস্যায় পড়তে হয় একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের,কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।