/anm-bengali/media/media_files/rAkHjAAAsreGGbdV4X8Z.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যে শেষ হয়েছে মনোনয়ন প্রক্রিয়া। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে চলছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে রাজ্য জুড়ে অশান্তি ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে ইতিমধ্যেই একাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বারংবার অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মৃতদের মধ্যে বিরোধীদের সঙ্গে রয়েছে শাসকদলের কর্মীরাও। এবার তৃণমূলের হয়ে হুমকি পোস্টার পড়ল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। পোস্টারে সরাসরি বলা হয়েছে, "তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করলে বাড়িতে সাদা থান পাঠানো হবে"। এছাড়াও পোস্টারে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়েছে এই হুমকি পোস্টারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রঘুনাথগঞ্জে। ফলে সময় বদলালেও ফের সামনে এল 'সাদা থান সন্ত্রাস'। উল্লেখ্য, আজই মুর্শিদাবাদ যাওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই খুন করা হয় মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস কর্মীকে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ মৃত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের মুর্শিদাবাদ সফরের পূর্বে এই হুমকি পোস্টারকে ঘিরে বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসের ঘটনাকে একেবারেই মেনে নেওয়া হবে না বলে পূর্বেই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি সোজাসুজি অ্যাকশন নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই রাজভবনে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সাধারণ মানুষ ভোট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজভবনে নিজেদের অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ফলে রাজ্যপালকে নিয়ে শাসকদলের অন্দরে অস্বস্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শাসকদলের একাধিক নেতার মুখে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে শোনা গিয়েছে। এমনকি শাসকদলের বিধায়কের তরফে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে শকুনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে ফের একবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের বলি হতে হয়েছে এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, বিজেপির হয়ে বৌদি ভোটে দাঁড়িয়েছে বলে দেওরকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এবারও অভিযোগের তীর শাসক দলের দিকে। কোচবিহারের দিনহাটায় এই ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ভাঙড় সহ রাজ্যের একাধিক এলাকা ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের তরফেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচন করার পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথমে নির্বাচন কমিশনের তরফে এই রায় মেনে নেওয়া হলেও পরে রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন দেখার নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে জয় পায় কিনা।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us