বড় খবরঃ ভোট সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা! আশ্বাস দিলেন অগ্নিমিত্রা

ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্য জুড়ে অশান্তি বেড়েই চলেছে। সেই নিয়ে জানা গেল বড় খবর।

author-image
Probha Rani Das
New Update
vcbnbaq16.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ছিল। অন্তত ২০১৯ সালে তৎকালীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জয়লাভ করে তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন। এই লোকসভা কেন্দ্রের মেদিনীপুর ও খড়্গপুর বিধানসভায় সবথেকে বেশি ব্যবধান দিয়েছিল।

সব মিলিয়ে ৮৭ হাজার এর ব্যবধান ছিল মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে। তাকে ঘুচিয়ে ২৭ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। নিজেদের শক্ত ঘাঁটিতে হারের পর টানা দুদিন ধরে পর্যালোচনা করে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের উপলব্ধি, "লক্ষ্মী ভান্ডারই আমাদের হারের পেছনে বড় কারণ।"

agnimitraaw2.jpg

নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বহু বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। হুমকি ও আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৩৫ জন মেদিনীপুর শহরে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অগ্নিমিত্রা পাল। তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য জেলা কার্যালয়ে তিনি হাজির হন। তিনি আশ্বাস দেন যে নিরাপত্তা ও বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে

agnimitra paul.jpg

অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আমার খুব কাছের বন্ধু জয়ী হয়েছেন। ২০২১ সালে তিনি যখন জয়ী হয়েছিলেন তখন আবেদন ছিল যে এই ধরনের আক্রমণ যাতে না হয়। কিন্তু রক্ষা হয়নি। এবারও পরাজিত হওয়ার পর খড়পুরেই সংবাদ মাধ্যম দিয়ে আবেদন করেছিলাম যে কেউ যাতে আক্রান্ত না হয়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সুতরাং এবার আমাদের কর্মীদের রক্ষা আমরাই করব।”

সেই সঙ্গে পরাজয়ের কারণ আত্মবিশ্লেষণ করেছেন দুদিন ধরে। তারপর তিনি জানান, "আমাদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ লক্ষ্মী ভান্ডার। জানিনা বাংলার মা-বোনেদের কাছে তাদের পরিবারের আত্মসম্মান, সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের থেকে লক্ষ্মী ভান্ডার এত প্রিয় কিভাবে হলো। যাই হোক সেটা হয়েছে। তবে মেদিনীপুর একজন ভালো সাংসদকে হারালো। ভেবেছিলাম আমি জয়ী হয়ে এইমস ধাঁচের একটা হাসপাতাল বানাবো এখানে। কিছু ইন্ড্রাস্ট্রি আনবো। কিন্তু যেহেতু সাংসদ হতে পারলাম না সেটা নিয়ে আসার ক্ষমতা ততখানি আমার নেই।"