নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ধুপগুড়িতে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়ের দলবদল নিয়ে এবার বড় মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। সেইসঙ্গে নজিরবিহীনভাবে নেতা নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আজ রবিবার এক টুইট বার্তায় অমিত মালব্য লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন তার আরও এক প্রমাণ মিলল। ধূপগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়, যিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, উপনির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিরোধী জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুত্ব সহকারে না নেওয়ার একটি কারণ রয়েছে। তাঁর নিজের রাজ্যে রাজনৈতিক ভিত্তি ভেঙে পড়েছে।‘
এই মিতালী রায় ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার আসনটি জিতেছিলেন, তবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিষ্ণু পদ রায়ের কাছে পরাজিত হন। গত ২৫ জুলাই বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়, যার জন্য ভোট হবে মঙ্গলবার। ভোট গণনা হবে ৮ সেপ্টেম্বর।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি এবং দলের জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন মিতালী রায়।
এই প্রসঙ্গে বড় মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ‘ভারতীয় জনতা পার্টি অত্যন্ত আনন্দিত কারণ মিতালী রায় উত্তরবঙ্গের এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ। আর তিনি আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তিনি ও তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রাজবংশীদের সমস্যা, উত্তরবঙ্গের সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন। উত্তরবঙ্গের মানুষের অবহেলা, নিপীড়ন, এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। মোদীজির কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি আজ দলে যোগ দিয়েছেন।‘
এদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মিতালী রায় বলেন, 'আমি তৃণমূলে কাজ করতে পারছিলাম না। প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিলাম। আমি ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের জন্য প্রচার করতে চাইনি কিন্তু আমাকে এর জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি কারণ তারা কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে, যা আমাকে এলাকায় উন্নয়ন আনতে এবং জনগণের চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।‘
অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মিতালী রায় এলাকার একজন প্রবীণ নেত্রী এবং তিনি জনগণের প্রয়োজন সম্পর্কে জানেন। তাঁর যোগদান বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করবে।‘
এদিকে গতকাল শনিবার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি দ্বিপেন প্রামাণিক।