নিখোঁজ থাকা গবেষককে নিয়ে বড় খবর

অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান মিলেছে বিশ্বভারতীর নিখোঁজ বিদেশি গবেষক-ছাত্রের। নেপথ্যে কোন রহস্য? কী জানালো পুলিশ? মায়ানমারের বাসিন্দা উদ্ধার ওড়িশায়।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
sza

নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর :  ওড়িশার তালসারি বিচ থেকে উদ্ধার বিশ্বভারতীর নিখোঁজ বিদেশি গবেষক-ছাত্র।  নিখোঁজ কাণ্ডের নেপথ্যে কোন কারণ? পূর্ব মেদিনীপুরে খোঁজ মিললো বিশ্বভারতীর অপহৃত গবেষক-ছাত্রের। ওড়িশার তালসারি থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তালসারিতে সমুদ্রের পাড় থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ১২ জনকে। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন দুবরাজপুর, ১ জন নানুর ও বাকি ৮ জন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। ব্যবসায়ীক গণ্ডগোলের কারণেই তাকে অপহরণ করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ। ভাড়া বাড়িতে ঢুকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানার পরেই থানায় মেইল করে অভিযোগ দায়ের করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। জানা যায়, অপহৃত ছাত্রের নাম পান্না চারা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পান্না চারার বাড়ি মায়ানমারে। ছাত্রটি বিশ্বভারতীর সংস্কৃত ডিপার্টমেন্টের পিএইচডি স্কলার ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়া। শান্তিনিকেতনের ইন্দিরা পল্লী এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে বন্ধুও থাকতেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ, ৭ থেকে ৮ জনের একটি দুষ্কৃতী দল ওই এলাকায় পৌঁছায়। প্রথমে ইন্দিরা পল্লীতে বেশ কয়েকটি বাড়িতে তারা ওই ছাত্রটির ছবি দেখিয়ে খোঁজখবর নেয়। তারপর হানা দেয় ছাত্রের ভাড়া বাড়িতে। সেখান থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পান্নাকে। এমনকী তাঁর সঙ্গে যে বন্ধু থাকে তার মোবাইলটিও নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।

ঘটনার পর গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায় ওই ছাত্রের বন্ধু। বিষয়টি জানতে পেরেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বোলপুর থানায় মেইল করে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অ্যাকটিভ করা হয় বিভিন্ন সোর্সকে। বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত চালান পুলিশ আধিকারিকরা। অবশেষে ওড়িশার তালসারিতে খোঁজ পাওয়া যায় ওই গবেষক ছাত্রের। দ্রুত সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় তাঁকে। একইসঙ্গে তার মোবাইলিও উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ওই ছাত্র। সেই ব্যবসার টাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই এই অপহরণ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা করতে এসে কী ভাবে তিনি ব্যবসা করতেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে তিনি ঠিক কোন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।