বর্গভীমা মায়ের মন্দির ঘুরে এসেছেন?

কোথায় আছে এই মন্দির?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-10-20 at 3.44.43 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন শহর তাম্রলিপ্ত অধুনা তমলুকের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা মা। পুরানে বর্ণিত ৫১ শক্তিপিঠের অন্যতম এক পিঠ। সতীর বাম পায়ের গোড়ালি অংশ পড়েছিল এই স্থানে। এখানে দেবী ভীমা কালী রূপে পূজিতা। 

পুরানে কথিত রয়েছে দক্ষযজ্ঞে সতীর দেহত্যাগের পরে তার বাম পায়ের গোড়ালি সুদর্শন চক্রে খন্ডিত হয়ে এই স্থানে এসে পড়ে। এই মন্দিরের উল্লেখ মহাভারতেও রয়েছে। মহাভারতে উল্লিখিত, তমলুকের ময়ূর বংশীয় তাম্রধ্বজ রাজাই নাকি এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। জনশ্রুতি আছে, রাজার আদেশে সেই সময় রাজ পরিবারে রোজ জ্যান্ত শোল মাছ দিতে আসতেন এক দরিদ্র ধীবরপত্নী। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সারাবছর কীভাবে জ্যান্ত মাছের জোগান দেন ওই ধীবর পত্নী এই প্রশ্ন জাগে রাজার মনে। রাজা চেপে ধরতেই গোপন কথা ফাঁস হয়ে যায়। ধীবরপত্নী রাজাকে জানান, জঙ্গলে ঘেরা একটি কূপ থেকে জল ছিটিয়েই রোজ মরা শোলকে জ্যান্ত করে তিনি রাজ দরবারে হাজির করতেন। ধীবরপত্নীর কথামতো ওই এলাকায় রাজা গিয়ে দেখতে পান উগ্রতারা রূপী দেবী বর্গভীমার মূর্তি। সেখানেই মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন রাজা। মুকুন্দরামের চন্ডীমঙ্গল কাব্যে এবং মার্কণ্ড পুরাণে আছে দেবী বর্গভীমার উল্লেখ। তমলুকে অতীতে কোনও শক্তির পুজো হত না। শুধুমাত্র দেবী বর্গভীমার পুজো হত। কিন্তু একসময় তমলুকে দুর্গা, জগদ্ধাত্রীর পাশাপাশি কালীপুজোর প্রচলন শুরুর সময় সমস্যা দেখা দিলে তৎকালীন প্রবীণেরা নিদান দেন পুজো শুরু করার আগে দেবী বর্গভীমাকে পুজো দিয়ে অনুমতি নিতে হবে।‌

WhatsApp Image 2025-10-20 at 3.45.23 PM