জঙ্গল লাগোয়া জমির ফসল বাঁচাতে কাঁটাতারের বেড়া হাতির গতিপথে, আলোচনার ডাক বনদফতরের

হাতির দলকে আটকাতে গিয়ে কি হাতিদের জন্যই বিপদ তৈরী করা হচ্ছে?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-08-27 at 5.11.12 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: প্রতি বছর জমিতে চাষ করলেও সেই ফসল বাড়িতে তুলতে পারেন না কৃষকরা। সমস্তটাই নষ্ট করে দেয় হাতির দল। নিত্য বছর এই সমস্যা দেখে সমাধানের পথ খুঁজতে গিয়ে কৃষকরা কাঁটাতারের বেড়া দিল জমির চারিদিকে। আর ওই জমির পাশে থাকা জঙ্গলেই হাতিদের বাসস্থান। যার ফলে হাতিদের যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি হয়ে দাঁড়াতে পারে কাঁটাতারের বেড়া। শুধু হাতি নয়, গবাদি পশুও জখম হতে পারে ওই কাঁটাতারে। বিষয়টি জানার পর নড়েচড়ে বসেছে বনদফতর। ওই সমস্ত জমিগুলি বনদফতরের জায়গা নাকি ব্যক্তিগত সেই বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে।

ঘটনাটি মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া রেঞ্জের হেতাশোল এলাকার। ওই এলাকার শুকনাখালির জঙ্গলে হাতিদের বাসস্থান। সেই জঙ্গল লাগোয়া বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান চাষ করেন কৃষকেরা। জমির পাশেই রয়েছে বিশাল জলাশয়। জল এবং খাবার একই জায়গায় থাকার সুবাদে শুকনাখালির জঙ্গল হয়ে উঠেছে হাতিদের ডেরা। বিকেল হলেই তারা নেমে পড়ে ধান জমিতে খাবারের খোঁজে। আশেপাশের সমস্ত জমির ধান নষ্ট করে দেয় প্রতি বছর। বাড়িতে ধান তুলতে পারেন না কৃষকরা। এবার সেই জমির ফসল বাঁচাতে কাঁটাতারের বেড়া দিলেন জমির চারপাশে। কোথাও শালগাছে পেরেক দিয়ে কাঁটাতার টানা হয়েছে, কোথাও আবার জঙ্গলের গাছ কেটেই নাকি খুঁটি করা হয়েছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে বনদফতর। প্রাথমিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে কোনওভাবেই জঙ্গলের গাছ কাটা যাবে না। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া কি সরানো হবে? স্থানীয় এক কৃষক বলেন, "আমার ৬ বিঘা জমিতে ধান চাষ করি। ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। কোনও বছরই বাড়িতে ধান তুলতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়েই কাঁটাতারের বেড়া দিতে হয়েছে"। কিন্তু এই বেড়া হাতির গতিপথে বাধা সৃষ্টি বলে মনে করছে বনদফতর। ওই কৃষকদের নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে বনদফতরের পক্ষ থেকে। হাতির করিডরে এভাবে কাঁটাতারের বেড়া দিলে গ্রামেও প্রবেশ করে যেতে পারে হাতির দল। চাঁদড়া রেঞ্জ আধিকারিক লক্ষীকান্ত মাহাতো বলেন, "বিষয়টি শুনেছি। ওই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে"।

elephant