/anm-bengali/media/media_files/2025/08/13/whatsapp-image-2025-08-13-2025-08-13-14-48-08.jpeg)
হরি ঘোষ, দুর্গাপুর: ঘন জঙ্গলের ভেতর সন্ধ্যা নামলেই শোনা যায় ধূসর নেকড়ে আর হায়নার ডাক। কিন্তু নগর উন্নয়ন আর দূষণের ভিড়ে ক্রমশ কমছে নেকড়ে। তবুও নেকড়ে বাঁচাতে তৎপরতার সাথে কাজ করছে বন্যপ্রাণী সংগঠন শাখা ও রাজ্য বনবিভাগ। বিপন্ন নেকড়ে! বিশ্ব নেকড়ে দিবসে সচেতনতার বার্তা
মঙ্গলবার বিশ্ব নেকড়ে দিবসে নেকড়ে ও হায়নাদের অস্তিত্ব ও সংরক্ষণ নিয়েই দুর্গাপুরের সৃজনীতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের মুখ্য বনাধিকারিক বিদ্যুৎ সরকার, দুর্গাপুর বন বিভাগের বনাধিকারিক অনুপম খান, বর্ধমান বনবিভাগের বনাধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা, দুর্গাপুর বনাঞ্চলের রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বনদফতরের কর্মীরা। আয়োজনের দায়িত্বে ছিল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সক্রিয় সংস্থা উইংস। সংরক্ষণকর্মীদের মতে, ধূসর নেকড়ে ও হায়না শুধু শিকারি নয় তারা বনজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষাকারীও বটে। কিন্তু শিল্পায়ন, খনির সম্প্রসারণ ও মানুষের অনুপ্রবেশে তাদের বাসস্থান ক্রমশ কমছে। তবুও বনদফতরের বাড়তি নজরদারি ও উইংসের গবেষণা এই বিপন্ন প্রাণীদের রক্ষায় নতুন আশা জাগাচ্ছে। বনদফতরের তরফে আরও জানানো হয়, কাঁকসার মলানদিঘির বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে নেকড়ের প্রজনন বাড়ছে। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মাধাইগঞ্জের জঙ্গলেও দেখা যাচ্ছে সেইসব প্রজাতির নেকড়ে। সেখানে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। উইংসের সদস্যরাও এই ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিনের মূল বার্তা ছিল একটাই, যদি এই প্রাণীরা হারিয়ে যায়, তবে হারিয়ে যাবে বনের প্রাণও। মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থানের পথই তাদের বাঁচানোর একমাত্র উপায়। অনুষ্ঠানে দক্ষিণবঙ্গের মুখ্য বনাধিকারিক বিদ্যুৎ সরকার বলেন, "নেকড়ে ও হায়না সংরক্ষণে বনদফতর বিশেষভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। বিশেষ করে গড় জঙ্গল ও মাধাইগঞ্জ জঙ্গলে ধূসর নেকড়ে ও কিছু হায়না দেখা গেছে। উইংসের ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের গতিবিধি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে"।
/anm-bengali/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/01/gray-wolf-396020.jpg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us